দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি বেআইনি নয়। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট এমনই রায় দিয়ে কেজরিওয়ালের আবেদন খারিজ করে দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন আপ সুপ্রিমো।
বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আবেদন করেন কেজরিওয়াল। জানা গেছে, জরুরী ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আবেদন জানানো হবে। উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ গ্রেফতারির পর সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। যদিও পরবর্তীতে আবেদন প্রত্যাহার করে নিম্ন আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ গ্রেফতার করা হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আপ প্রধান। সেই মামলায় গত ১ এপ্রিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল।
গত বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। দুই পক্ষের সওয়াল শোনার পর রায় দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি। সেই মামলার রায় দান হল মঙ্গলবার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে ‘মূল চক্রী’ হিসাবে দেখিয়েছে ইডি। পাশাপাশি, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগও ওঠে। তাই কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি বেআইনি নয়। আপাতত তাঁকে জেল হেফাজতেই থাকতে হবে।
কেজরিওয়ালের এই মামলা দায়ের করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘‘এই আবেদন এমন ভাবে করা হয়েছে যেন এটি গ্রেফতার বাতিলের আবেদন নয়, জামিনের আবেদন।’’
যদিও কেজরিওয়ালের আইনজীবী মনু সিঙ্ঘভির দাবি, যে সময় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তখন দেশ জুড়ে আদর্শ আচরণ বিধি চালু হয়ে গেছে। ফলে তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদিও আদালত কেজরিওয়ালের আবেদন খারিজ করেছে। আপাতত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকতে হবে আপ প্রধানকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন