দিল্লীর আবগারি দুর্নীতি মামলায় ফের আপ প্রধান তথা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই নিয়ে চতুর্থবারের জন্য কেজরিওয়ালকে তলব করল ইডি। ১৮ জানুয়ারি তদন্ত সংস্থার সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনবার তলব করা হলেও তিনি হাজিরা দেননি।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর কেজরিওয়ালকে তলব করে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। গত ৩ জানুয়ারি তাঁকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য ইডি দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও তিনি সেই সময় উপস্থিত হননি। পাল্টা ইডির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে সেই অভিযোগও তোলেন। বিজেপির নির্দেশে এই সব কাজ করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি, সমনের নোটিশ অবৈধ বলে দাবি করেন।
এর আগে তলবের আগে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিরও দাবি উঠেছিল। আপ দলের মন্ত্রীই সমাজ মাধ্যমে পোষ্ট করে সেই দাবি করেছিলেন। কিন্তু সেবারও তিনি হাজিরা এড়িয়েছিলেন। এছাড়াও এর আগে গত ২ নভেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বর তলব করে দু’টি নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো বারেই ইডির সামনে হাজির হননি তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল আবগারি দুর্নীত মামলায় কেজরিওয়ালকে ন’ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল আরেক তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। এরপর এই মামলায় আর্থিক লেনদেনের সন্ধান মিললে, ইডি তদন্ত শুরু করে।
প্রসঙ্গত, আপ সরকারের আমলে আবগারি নীতি বদলে ফেলে কয়েকটি সংস্থাকে বেআইনি ভাবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিতর্কের জেরে ২০২২ সালে নয়া আবগারি নীতি বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল দিল্লির আপ সরকার। কিন্তু তার আগেই এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা।
এর আগে, দিল্লীর আবগারি দুর্নীতি মামলায় এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লীর উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও দিল্লীর সাংসদ সঞ্জয়কে। গত ফেব্রুয়ারিতে সিসৌদিয়া এবং অক্টোবরে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন