কাঁওয়ার যাত্রার উদ্দেশ্যে পথে নেমেছে পুণ্যার্থীদের ঢল। ভিড় সামলাতে ২৯ জুলাই অর্থাৎ আজ সোমবার থেকে আগামী ২ আগষ্ট পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হচ্ছে দেরাদূন-দিল্লিগামী ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক। এর আগে রাস্তার দুধার ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পুণ্যার্থীদের জন্য।
গত ২২ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কাঁওয়ার যাত্রা। এই যাত্রায় ঘটে করে জল নিয়ে বিভিন্ন শৈব তীর্থের উদ্দেশ্যে রওনা দেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। তাঁদের সুবিধার্থে সোমবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেরাদূন-দিল্লিগামী ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক। জানা গেছে, আগামী কয়েকদিন কেবল পুলিশের নির্ধারিত পথেই ওই রুটের যানবাহন যেতে পারবে।
অন্যদিকে, হরিদ্বারেও ঢল নেমেছে পূণ্যার্থীদের। ইতিমধ্যেই সেখানে প্রায় ১.২৫ কোটি ভক্ত হর কি পৌড়ি এবং অন্যান্য ঘাট থেকে গঙ্গাজল নিয়ে শিবতীর্থের দিকে রওনা দিয়েছেন। তীর্থযাত্রীদের ১২ টি সুপারজোন, ৩৫ টি জোন এবং ১৩২ টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। এলাকা জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ বাহিনী। যাতে পূণ্যার্থীরা সুষ্ঠভাবে শিবের মাথায় জল ঢালতে পারেন।
গত ২২ জুলাই অর্থাৎ শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার থেকে শুরু হয় কাঁওয়ার যাত্রা। বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এই যাত্রায় অংশ নেওয়া পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কাঁওয়ার যাত্রার পথের দু’পাশে খাবার এবং মাংসের দোকান নিয়ে জারি করা হয়েছিল নানান বিধি-নিষেধ।
উত্তরপ্রদেশের মুজফফরপুরের জেলা শাসক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, কাঁওয়ার যাত্রাপথে রাস্তার দু’ধারে যে সব খাবারের দোকান রয়েছে, সেই সব দোকানের বাইরে টাঙানো সাইনবোর্ডে দোকান মালিকের নাম-পরিচয় স্পষ্ট করে লিখতে হবে। যদিও এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, এই নির্দেশ যদি পালন করা হয় তাহলে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতায় আঘাত লাগবে। দোকান ব্যবসায়ীদের নাম লিখতে বাধ্য করা উচিত নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন