দিল্লিতে বিজেপি-শাসিত নাগরিক সংস্থাগুলি পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে বিতর্ক ছড়ালো বিজেপি এবং আপ-এর মধ্যে। শুক্রবার আম আদমি পার্টির তরফে দিল্লির বিজেপি প্রধান আদেশ গুপ্তকে অবৈধ নির্মাণ প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। AAP-এর অভিযোগ, বিজেপি নেতা আদেশ গুপ্তের নিজস্ব অফিস এবং বাড়ি অবৈধ জমির উপরেই। তাই, আগামীকাল ১১ টার মধ্যে বুলডোজার না সরানো হলে তাঁর বাড়িতেও বুলডোজার নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির মদনপুরার খাদার এলাকা থেকে AAP বিধায়ক আমানতুল্লাহ খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ঘটনার সূত্রপাত হয় সেখান থেকেই। উচ্ছেদ অভিযানের হুঁশিয়ারি দেওয়ার সময় আম আদমি পার্টির তরফে বলা হয়েছে, "আদেশ গুপ্ত তাঁর বাড়ি ও অফিসের জন্য সরকারি জমি দখল করেছেন। আমরা অভিযোগ দায়ের করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।"
দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া আজ সকালে বুলডোজার প্রসঙ্গে বলেন, এটি মূলত "অর্থ আদায়ের জন্য বিজেপির একটি বড় পরিকল্পনা"। তিনি আরও বলেন, বিজেপি রাজধানীতে প্রায় ৬৩ লাখ বাড়ি ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করেছে।
নাগরিক সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে দিল্লির আম আদমির জাতীয় সাংগঠনিক প্রধান দুর্গেশ পাঠক অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি বুলডোজার দিয়ে লোকদের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রায় ৫-১০ লাখ টাকা আদায় করছে। তিনি আরও বলেন, "শুধু একজন মিউনিসিপ্যাল অফিসারই নয়, যারা যারা অবৈধ নির্মান ধ্বংসের সাথে যুক্ত তাদের সবার বাড়ি ভাঙা হবে।"
নাগরিক সংস্থাগুলির মাধ্যমে বিজেপি দুর্নীতিতে লিপ্ত হচ্ছে, এই অভিযোগের জবাবে, আদেশ গুপ্তা "অবৈধ রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশীদের" বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, তারা সরকারি জমি দখল করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, আম আদমি পার্টির নেতারা তাদের অবৈধ বসতিগুলিতে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশীদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে এবং তাদের দাঙ্গা লাগাতে ব্যবহার করছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "আম আদমি পার্টি দিল্লিতে রোহিঙ্গাদের রক্ষা করছে। দাঙ্গাবাজদের আশ্রয় প্রদান করছে। দিল্লি সরকার যদি সত্যি গরীবদের জন্য চিন্তা করত তাহলে দিল্লিতেও 'কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত' প্রকল্প চালু করত। যা তাদের বসবসাসের জন্য স্থায়ী বাড়ি করে দিত। তাই দয়া করে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশীদের সম্পত্তি উচ্ছেদ নিয়ে রাজনীতি করবেন না।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন