উমর খালিদের বিরুদ্ধে থাকা ইউএপিএ মামলার শুনানি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অমিত শর্মা। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হওয়া দিল্লি দাঙ্গায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্র খালিদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
বিচারপতি প্রতিভা এম সিং এবং বিচারপতি অমিত শর্মার ডিভিশন বেঞ্চে ইউএপিএ মামলাটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এখন বিচারপতি শর্মা এই মামলা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় অন্য বেঞ্চে নিয়ে যাওয়া হবে মামালাটিকে।
আদালত জানিয়েছে, “মাননীয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির আদেশের সাপেক্ষে, বিচারপতি অমিত শর্মা সদস্য নন এমন বেঞ্চে ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে এই মামলাটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হোক।“
উল্লেখ্য, বিচারপতি শর্মা এর আগে এই বিষয়ে অভিযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের জামিনের আবেদনের শুনানি থেকেও নিজের নাম প্রত্যাহার করেছিলেন।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে খালিদকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ সহ তৎকালীন ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানালেন খালিদ। ২০২২ সালের শুরুর দিকে নিম্ন আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল এবং বিচারপতি রজনীশ ভাটনগরের ডিভিশন বেঞ্চ খালিদের জামিন নামঞ্জুর করে দেয়।
হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন খালিদ। কিন্তু ২০ বারেরও বেশি তাঁর জামিনের শুনানি মুলতুবি করে দেওয়া হয়। এরপর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করতে চেয়ে আবেদন করেন খালিদ। তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বাল জানান, “আমরা ট্রায়াল কোর্টেই আমাদের ভাগ্য পরীক্ষা করব।“
বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চ এই অনুরোধটি মঞ্জুর করে। আবার ট্রায়াল কোর্টে আবেদন করেন খালিদ। কিন্তু ২৮ মে, ট্রায়াল কোর্ট তাঁর দ্বিতীয় জামিন নাকচ করে দেয়, যার ভিত্তিতে তিনি আবার হাইকোর্টে যান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন