বৃহস্পতিবারের থেকে শুক্রবার আরও খারাপ হয়েছে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান। আজ দিল্লির গুণগত মান সূচক (AQI) ৪৯৮। এই পর্যায়কে ‘অতি ভয়াবহ’ বলা হয়ে থাকে। গতকাল এই সূচক ছিল ৪৩২। সুইস সংস্থা ‘আইকিউ এয়ার’ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর দিল্লি। প্রথমে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। লাহোরে বাতাসের গুণগত মান সূচক ৭৭০।
দীপাবলির পর থেকেই খারাপ হচ্ছে দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি। বুধবার তা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপর বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। আজ তার থেকেও খারাপ। শুক্রবার দিল্লিতে সবচেয়ে উদ্বেগজনক এলাকাগুলো হল – জাহাঙ্গিরপুর, ওয়াজিরপুর, রোহিণী এবং পাঞ্জাবি বাগ। দূষণ মোকাবিলায় শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকেই কার্যকর হয়েছে তৃতীয় স্তরের সতর্কতা (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩ বা জিআরএসপি ৩)। বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণও জারি করা হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা জানিয়েছেন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত শুক্রবার থেকে দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী) অনলাইনে হবে। এছাড়া সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আরও জানানো হয়েছে, এখনই প্রয়োজন নেই, এমন নির্মাণের কাজ কিংবা ভাঙার কাজ আপাতত বন্ধ থাকছে।
এছাড়া বিএস ৩-এর নীচে থাকা পেট্রল গাড়ি এবং বিএস ৪-এর নীচে থাকা ডিজেল গাড়ি এই মুহূর্তে চলাচল করতে পারবে না দিল্লির রাস্তায়। একই নিয়ম কার্যকর থাকবে উত্তরপ্রদেশের গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ এবং নয়ডার মতো NCR এলাকাগুলিতে। একমাত্র অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনের ক্ষেত্রেই ডিজেল চালিত জেনারেটর ব্যবহার করা যাবে। জিআরএপি ৩ কার্যকর থাকাকালীন রাস্তায় ধুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও বেশি পরিমাণে জল ছেটানোর ব্যবস্থা করা হবে।
বৃহস্পতিবারও খারাপ ছিল দিল্লির বাতাসের গুণগত মান। বাতাসের গুণগত মান ছিল ৪৩২। এদিন সকালে রাজধানীর দৃশ্যমানতা শূন্য হয়ে গিয়েছিল। ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকেছিল শহর। ধোঁয়াশা এতটাই বেশী ছিল যে, তাজমহলের প্রবেশদ্বার থেকে সৌধটি দেখা যাচ্ছিল না। বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন