দিল্লিতে ২০০৯ সালের পর এই প্রথম গত এক মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) শনিবার একথা জানিয়েছে। শেষবার দিল্লিতে সর্বাধিক বৃষ্টি রেকর্ড করেছিলো ১০ আগস্ট, ২০১০ সালে। সেবার বৃষ্টি হয়েছিলো ১১০ মিলিমিটার।
গতকাল থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দিল্লিতে ভয়াবহ বৃষ্টি হয়েছে। আইএমডি জানিয়েছে, লোদী রোড এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৯ মিলিমিটার। দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৯.২ মিলিমিটার। পালামে বৃষ্টি হয়েছে ৮৪ মিলিমিটার। আর্য নগরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬৮.২ মিলিমিটার। প্রবল বৃষ্টির জেরে রাজধানী জুড়ে জল জমেছে এবং যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সফদারজং বিমানবন্দরে এই বর্ষা মরশুমে শনিবার সর্বোচ্চ এক দিনের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৩৮.৮ মিমি।
আইএমডির বিবৃতি অনুসারে, দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চল জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি তীব্রতার সাথে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। দিল্লি-এনসিআর-এর বাহাদুরগড়, ফরিদাবাদ, বল্লভগড়, লোনি দেহাট, হিন্ডন এএফ স্টেশন, গাজিয়াবাদ, ইন্দিরাপুরম, নয়ডা, বৃহত্তর নয়ডা, কারনাল, কাইথাল-এর বেশিরভাগ জায়গার সংলগ্ন এলাকায় শনিবার বৃষ্টি হবে।
বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকা এবং বেশ কয়েকটি রাস্তা এবং জংশনে জল জমে গেছে। জমা জলের কারণে এদিন দিল্লি জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য টুইটারে দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে: "এমবি রোডে জমার কারণে যানবাহন থমকে গেছে, খানপুর টি-পয়েন্ট থেকে হামদর্দ নগর রেড লাইট ট্র্যাফিক, মেহরাম নগর আন্ডার পাস, রাজোকরি আন্ডারপাস, রাজঘাট থেকে শান্তিবন পর্যন্ত বিভিন্ন অঞ্চলে জল জমে আছে।
ওই ট্যুইটে আরও জানানো হয়েছে, "দ্বারকা আন্ডারপাস এবং বিজবাসন ফ্লাইওভারে জল জমেছে। এছাড়াও রাজধানী পার্ক মেট্রো স্টেশন থেকে মুন্ডকা এবং নাংলোই থেকে নাজফগড় অভিমুখী রাস্তাতেও জল জমে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।"
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন