Delhi University: ৫ মাসের বেতন বকেয়া, হুঁশ নেই দিল্লি সরকারের, আন্দোলনে DUTA

DUTA সভাপতি রাজীব রায়ের কথায়, দিল্লি সরকার এবং প্রশাসনকে শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মীদের দুর্দশার কথা বারবার বলা হয়েছে, কিন্তু রাজ্য সরকার কর্ণপাত করেনি। বকেয়া বেতনের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
প্রতিবাদে ডুটার সদস্যরা
প্রতিবাদে ডুটার সদস্যরাছবি রাজিন্দর সিং-এর ফেসবুক প্রোফাইলের সৌজন্যে
Published on

দিল্লি রাজ্য সরকার পরিচালিত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৫ মাস বেতন বন্ধ। আলোর উৎসবের মাসে কার্যত বেকায়দায় পড়েছেন তাঁরা। বেজায় চটেছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সংগঠন ডুটা (Delhi University Teachers Association)। পাঁচ মাসের বেতন না পাওয়া শিক্ষক শিক্ষিকারা এবারের দীপাবলিকে “কালো দীপাবলি” বলছেন।

শিক্ষক-শিক্ষিকারা UGC-র কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন এবং দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। UGC যাতে কলেজগুলিকে অধিগ্রহণ করে, সেই বিষয়েও আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

DUTA সভাপতি রাজীব রায়ের কথায়, দিল্লি সরকার এবং প্রশাসনকে শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মীদের দুর্দশার কথা বারবার বলা হয়েছে, কিন্তু রাজ্য সরকার কর্ণপাত করেনি। বকেয়া বেতনের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সংগঠনের সেক্রেটারি রাজিন্দর সিং বলেন - এই কলেজগুলির শিক্ষকরা গত পাঁচ মাস ধরে বেতন পাননি। দিল্লি সরকারের এই মনোভাব শুধু লজ্জাজনকই নয়, নিন্দনীয়ও। তাঁর কথায় – “মাসের পর মাস বেতন না দেওয়া শিক্ষকদের মৌলিক মানবাধিকারের ওপর আঘাত”।

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ বারবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চিঠি দিয়ে জানানো সত্বেও কোনো লাভ হয়নি। উৎসবের মরশুমে সরকারী কর্মচারীদের সুখ-দুঃখ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ মাথাব্যথা নেই।

DUTA সভাপতি রাজীব রায় বলছেন, ২০ অক্টোবর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের উপাচার্য যোগেশ সিংকে বিষয়টি জানানো হয় এবং তাঁর তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়। কিন্তু লাভ হয়নি কিছু। তাঁর আরও অভিযোগ, দিল্লির সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে প্রচুর অনিয়ম রয়েছে এবং অনুদানের কোনও নিয়মকানুনই নেই। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্দশার কথা বিবেচনা করে ইউজিসিকে এইসব কলেজ অধিগ্রহণ করার আবেদন জানান তিনি।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in