তীব্র সমালোচনার জেরে আইনের স্নাতক স্তরে মনুস্মৃতি পড়ানোর প্রস্তাব খারিজ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের

People's Reporter: কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, "আমরা সকলেই আমাদের সংবিধান এবং ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিতর্কিত অংশ সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার প্রশ্নই আসে না"।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ছবি - সংগৃহীত
Published on

তীব্র বিতর্কের মাঝে এলএলবি-র প্রথম এবং ষষ্ঠ সেমেস্টারের পাঠ্যক্রমে মনুস্মৃতি যুক্ত করার প্রস্তাব খারিজ করলো দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও পাঠক্রমে কোনও বিতর্কিত অংশ রাখতে ইচ্ছুক নন বলেই জানিয়েছেন।

সম্প্রতি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপকরা এলএলবি ডিগ্রিতে জিএন ঝা-র ‘মনুস্মৃতি উইথ দ্য মনুভাষ্য অফ মেধাতিথি’ এবং টি কৃষ্ণস্বামী আইয়ারের ‘কমেন্টারি অফ মনুস্মৃতি— স্মৃতিচন্দ্রিকা’ সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন। সিলেবাস নির্ধারণ করা বোর্ডের কাছে পাঠানো হয় সেই প্রস্তাব। কিন্তু বোর্ড সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ সিং জানান, প্রস্তাব যাচাই করার জন্য আমি একটি কমিটি গঠন করি। কমিটি প্রস্তাবটি সঠিক বলে মনে করেনি। তাঁরা জানান শেখানোর জন্য আরও অনেক পাঠ্য রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট পাঠ্যের উপর নির্ভর করা উচিত নয়।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এই প্রসঙ্গে জানান, "আমরা সকলেই আমাদের সংবিধান এবং ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিতর্কিত অংশ সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার প্রশ্নই আসে না"।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাঠক্রমে মনুস্মৃতি যোগ করার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। অনেকেই বলছেন পড়ুয়াদের উপর হিন্দুত্ববাদী গ্রন্থগুলি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে বর্ণপ্রথা, লিঙ্গ বৈষম্য-র সমস্যা দেখা দেবে।

যদিও আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক অঞ্জু ভালি টিকু জানিয়েছিলেন, এটা সম্পূর্ণ তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর সাথে হিন্দু বা হিন্দুত্বের কোনও সম্পর্ক নেই।

মনুস্মৃতি অন্তর্ভুক্তের খবর শুনেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল বাম সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক টিচার্স ফ্রন্ট। তাদের অভিযোগ, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় মনুস্মৃতির কোনও কাজ নেই। সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য প্রাচীন গ্রন্থকে পড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মহিলাদের অধিকার যে গ্রন্থ খর্ব করে তার কী প্রয়োজন?

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
Rahul Ganghi: “জয় পরাজয় জীবনে থাকে" - স্মৃতি ইরানীর পাশে দাঁড়িয়ে রাহুলের বার্তার প্রশংসায় নেটিজেনরা

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in