প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঋষি সুনাকের (Rishi Sunak) দায়িত্ব গ্রহণের আগে থেকেই সাধারণ নির্বাচনের দাবী ক্রমশ জোরালো হচ্ছে ব্রিটেনে। চলতি বছরের শেষের আগে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার।
সমীক্ষক সংস্থা ইপসোস (Ispos) জানিয়েছে, ‘ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই, ২০২২ সালের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন চান দেশের ৬২ শতাংশ মানুষ। এর আগে, আগস্ট মাসে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন ৫১ শতাংশ মানুষ। দুই মাসের ব্যবধানে, ২০-২১ অক্টোবরের মধ্যে করা সমীক্ষায়- সেই মাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ শতাংশ।
এদিকে, বাকিংহাম প্যালেসে যাওয়ার আগে (রাজা চার্লস তৃতীয়ের সাথে দেখা করতে) সুনক ব্রিটেনে দ্রুত নির্বাচন করার দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। সুনাককে সমর্থন করে এমপি সাইমন হোয়ার জানিয়েছেন - ‘ ... কোন আগাম সাধারণ নির্বাচন হবে না।’
আইন অনুযায়ী, ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে। তবে, ব্রিটেনে চলমান অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক ডামাডোলের জেরে নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবি জোরালো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ এগিয়ে আনার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে রয়েছে।
ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড (Evening Standard)-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ অক্টোবর লিজ ট্রাসের (Liz Truss) পদত্যাগের ঘোষণার পরেই সাধারণ নির্বাচন এগিয়ে আনার পক্ষে জনমত বাড়ছে। এছাড়াও, ট্রাসের উত্তরসূরির (ঋষি সুনকের) ‘কোন ম্যান্ডেট নেই’ বলে দাবি করেছে বিরোধী দলগুলি।
বরিস জনসনের (Boris Johnson) অনুগত নাদিন ডরিস (Nadine Dorries) বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন এড়ানো ‘অসম্ভব’। কারণ, প্রধানমন্ত্রী-ইন-ওয়েটিং (Prime Minister-in-waiting) হিসাবে ঋষি সুনাকের নাম দেওয়া হয়েছে।
লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার (Deputy Leader of Labour Party) অ্যাঞ্জেলা রেইনার (Angela Rayner) বলেন, ‘আমি যাদের সাথেই কথা বলেছি, সকলেই জানিয়েছেন সাধারণ নির্বাচন হওয়া উচিত।’
১৯-২০ অক্টোবর, আরেকটি সমীক্ষা চালিয়েছে ইপসোস। তাতে জানা যাচ্ছে, কনজারভেটিভদের (Conservative) মধ্যে ভালো প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সুনক, এমনটা মনে করেন ৩৬ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে, ব্রিটেনের বিরোধী দলের নেতা ও লেবার পার্টির প্রধান স্যার কিয়ের স্টারমার (Sir Keir Starmer) ভালো প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, এমনটা মনে করেন ৪৬ শতাংশ মানুষ।
ইপসোসের (Ipsos) রাজনৈতিক গবেষক প্রধান কেইরান পেডলি (Keiran Pedley) জানিয়েছেন,‘ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, অনেকের মধ্যে থেকে ঋষি সুনককে বেছে নিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। তবে, তিনি ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছে না সাধারণ মানুষ।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন