বৃহস্পতিবারও বুলডোজার চলছে দিল্লিতে। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান। রাজধানীর জনকপুরী, দ্বারকা এলাকায় ইতিমধ্যেই বুলডোজার এসে গুড়িয়ে দিয়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের ঝুপড়ি। এখন সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে রোহিনীর কে এন কাটজু মার্গে। এইনিয়ে তৃতীয় দিনে পড়লো বিজেপি পরিচালিত দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগমের উচ্ছেদ অভিযান।
জানা গেছে, সোমবার শাহীনবাগের মতো জনগণের বিক্ষোভে এদিনের বুলডোজার অভিযান যাতে বন্ধ হয়ে না যায়, তার জন্য জনকপুরী, দ্বারকা ও কে এন কাটজু মার্গে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জল নিকাশি ব্যবস্থা যাতে ব্যহত না হয়, তার জন্য ঢেকে ফেলা হয়েছে রাস্তার পাশে থাকা ড্রেনগুলিকে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগমের উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় একাধিক বাম সংগঠন। সিপিআই, সিপিআই (এম), সিপিআই (এমএল), ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপির মতো বেশ কয়েকটি বাম দল যৌথভাবে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজালের বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ মিছিল করে। রাজধানীর বুকে বুলডোজার চালানোর প্রতিবাদে তাঁরা স্লোগান তোলেন। অনেকেই আবার প্ল্যাকার্ড হাতে দিল্লিতে ‘সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা’ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন।
একইসঙ্গে, সিপিআই (এম) পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, ‘জাহাঙ্গীরপুরী এবং দিল্লির অন্যান্য এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান উত্তেজনা সৃষ্টি এবং সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে তীক্ষ্ণ করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টার অংশ। বুলডোজারের রাজনীতি দরিদ্রতম মানুষ ও শ্রমজীবী পরিবারের আশ্রয়কে মাটিতে ফেলে দিয়েছে।‘
- With IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন