বহু বিতর্কের মাঝে দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি এবং মঙ্গলপুরীতে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দুই এলাকাতেই বুলডোজার চালাচ্ছে বিজেপি পরিচালিত দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগম (এসডিএমসি)। ১৩ মে পর্যন্ত চলবে এই অভিযান।
শাহীনবাগে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা পাওয়ার পর সোমবার আদালতে দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগম জানিয়েছিল, ‘কোনও নির্মাণ ভেঙে ফেলা হচ্ছে না।’ তবে, রাত পেরোতেই দেখা গেল- শাহীনবাগ থেকে বুলডোজার পৌঁছে গেছে দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি এবং মঙ্গলপুরীতে। প্রতিবাদ রুখতে আঁটসাট করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের সঙ্গে নামানো হয়েছে আধা-সামরিক বাহিনী।
পরে, নিউ ফ্রেন্ডস কলোনী এবং মঙ্গলপুরীতে কিছুতেই ভাঙচুর করতে দেওয়া হবে না বলে রাস্তা আটকান আপ বিধায়ক মুকেশ আহালওয়াত। এজন্য তাঁকে আটক করা হয়। এদিন তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন এই এলাকা ফাঁকা করে দিয়েছেন, তখন কেন বুলডোজার প্রবেশ করিয়ে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে?’
উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার সকাল থেকে শাহিনবাগে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী। গতকাল বিজেপি পরিচালিত দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগমের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পথে নামে কংগ্রেস কর্মীসহ সাধারণ মানুষেরা। বুলডোজারের সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এই বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় আম আদমি পার্টির বিধায়ক আমানতউল্লাহ খানও। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও আধা সেনা। পরে বুলডোজার সরিয়ে নিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। একইসঙ্গে পুরনিগমের তরফে আদালতকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়, ‘কোনও নির্মাণ ভেঙে ফেলা হচ্ছে না।’ যদিও রাত পোহাতেই শাহীনবাগের বদলে মঙ্গলপুরী এবং নিউ ফ্রেন্ডস কলোনীতে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হাজির বুলডোজার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন