কেন্দ্রের অবস্থান 'খুবই বিব্রতকর'। ২০১৬ সালের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে কেন্দ্রের হলফনামা জমা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়- বুধবার, নোট বাতিল সংক্রান্ত মামলাটি ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছে শীর্ষ আদালত।
১১ অক্টোবরের মধ্যে, এই বিষয়ে কেন্দ্র এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-কে বিশদ হলফনামা দাখিল করতে বলেছিল বিচারপতি সৈয়দ আবদুল নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
কিন্তু, তা না করে, হলফনামা দাখিলের জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর. ভেঙ্কটরামানি (Attorney General R. Venkataramani)। তারপরে, এই মামলাটি স্থগিত করেন বিচারপতি বি আর গাভাই (Justices B.R. Gavai), বিচারপতি এ এস বোপান্না (Justices A.S. Bopanna), বিচারপতি ভি রামাসুব্রামনিয়ান (Justices V. Ramasubramanian ) এবং বিচারপতি বি ভি নাগারথনা (Justices B.V. Nagarathna)-র বেঞ্চ৷
জানা যাচ্ছে, এদিন বিশদ হলফনামা প্রস্তুত করতে না পারার জন্য বেঞ্চের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি।
এদিন, বিচারপরিদের বেঞ্চ জানায়, ‘সাধারণত, কোনও সাংবিধানিক বেঞ্চে এভাবে মুলতবি হয় না। আমরা কখনই এভাবে উঠে যায় না। এটা আদালতের জন্যও খুবই বিব্রতকর।’ আর, এই মুলতুবি নিয়ে ভেঙ্কটরামানি বলেন, এই ঘটনার জন্য তিনিও ‘অস্বস্তি বোধ’ করছেন।
তবে, এই মুলতুবির বিরোধিতা করে মামলাকারীর আইনজীবীরা বলেন, একটি সংবিধান বেঞ্চের- এটি (মুলতুবি) কখনই স্বীকৃত অনুশীলন নয়।
এক মামলাকারীর আইনজীবী শ্যাম দিভান বলেন, সাংবিধানিক বেঞ্চকে মামলা মুলতুবি করতে বলাটা খুবই অস্বাভাবিক ব্যাপার। এরপর, আলাদতের কাছে তিনি আর্জি জানান, তাঁদেরও এ বিষয়ে তর্ক করার অনুমতি দেওয়া উচিত।
তবে, মামলা মুলতুবির পর- কেন্দ্র এবং RBI-কে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের হলফনামা জমার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর- ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৫০০-র অধিক পিটিশন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে।
আগের শুনানিতে, শীর্ষ আদালত বলেছিল আদালত তাঁর ‘লক্ষ্মণ রেখা’র ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। কিন্তু, ২০১৬ সালে নোট বাতিলের বিষয়টি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল কিনা, বা এর মধ্যে অন্য কিছু রয়েছে কিনা - তা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি এসএ নাজিরের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে যখন কোনও সমস্যা উত্থাপিত হয়, তখন সেই ব্যাপারে আদালতের অবস্থান স্পষ্ট করা কর্তব্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন