উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১০ সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ আরও ১৬ শিশু। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। তার আগে হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার করা হচ্ছে। যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, অসুস্থ শিশুদের দ্রুত চিকিৎসার পরিবর্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখনদারিতে ব্যস্ত। সরকারও নিজেদের প্রচারে ব্যস্ত।
সমাজমাধ্যমে কংগ্রেসের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উপমুখ্যমন্ত্রী আসার আগে হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার করা হচ্ছে। ছড়ানো হচ্ছে চুনও। যদিও ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
এক্স মাধ্যমে কংগ্রেস দাবি করে, 'বিজেপি সরকারের সংবেদনশীলতা দেখুন। একদিকে শিশুরা পুড়ে মারা গেল, তাদের পরিবার কাঁদছে, হাহাকার করছে। অন্যদিকে ডেপুটি সিএমকে স্বাগত জানাতে রাস্তায় চুন ছড়ানো হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন পুরো কম্পাউন্ডে ময়লা ছড়িয়েছিল। উপমুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই সমস্তকিছু পরিষ্কার করা হয়েছে। এটা সরকারের অসংবেদনশীলতার চরম নিদর্শন। শিশুরা পুড়ে মরছে আর এই সরকার মুখ উজ্জ্বল করতে ব্যস্ত। লজ্জাজনক!'
যদিও বিরোধীদের অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। তিনি বলেন, "যোগী আদিত্যনাথ সরকার বাচ্চাদের এবং তাদের পরিবারের পাশে আছে। আমাদের কর্মীরা, ডাক্তার এবং উদ্ধারকারী দল সাহসিকতার সাথে বাচ্চাদের বাঁচাতে কাজ করেছে"।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ ঝাঁসির মহারানী লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজের নিকু (NICU) বিভাগে আচমকাই আগুন লেগে যায়। সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। দ্রুত খবর দেওয়া হয় দমকল বিভাগকে। দমকলের ৬টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আগুন নেভাতে। রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শিশুদের উদ্ধার করা হয়। ১৬ শিশু আহত হয়েছে। কানপুরের এডিজি অলোক সিং জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই ওয়ার্ডে ৪৭ সদ্যোজাত ছিল। আহত ১৬ জনকে একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৃত শিশুদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আহতদের পরিবার পিছু ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন