আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। বুধবার চাঞ্চল্যকর এই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি। গত অক্টোবর মাসে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বুধবার কলকাতায় থাকাকালীন সাংবাদিকদের তিনি জানান, ওইদিন তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল আমার অফিসে এসেছিলেন। আমি তাদের জন্য সন্ধ্যে ৬টা থেকে রাত ৮.৩০ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। প্রথমে তাঁরা জানিয়েছিলেন আমার সঙ্গে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল দেখা করবে। আমি তাতে রাজী হই। পরে তাঁরা জানান ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করবেন। আমি তাতেও রাজী হই। অভিষেক ব্যানার্জি আমাকে জানিয়েছিলেন, তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। আমি তাতে রাজী হয়েছিলাম। পরে আমাকে জানানো হয় কোনও প্রতিনিধিদল নয়, আমাকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করতে হবে।
জ্যোতি আরও বলেন, তিনি অতক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে বুঝতে পারি আমার সঙ্গে দেখা করার কোনও উদ্দেশ্য তাদের ছিলনা। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ধর্না প্রদর্শন করা।
এদিন জ্যোতি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রীয় তহবিলের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেবার বা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার যে দাবি করছে তা সত্যি নয়।
তিনি জোরের সঙ্গে বলেন, আমরা কোনও টাকা আটকে রাখিনি। যদি আমরা তা করতাম তাহলে রাজ্যের সমস্ত প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যেত।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য শান্তনু সেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই দাবি অস্বীকার করেছেন। এদিন তিনি সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রী তাঁর অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করলেও সমস্ত সত্যি সামনে চলে আসবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তাঁর কথার দায়িত্ব নিতে হবে এবং এদিন তিনি যা বলেছেন তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন