নিজের সাসপেনশন নিয়ে মুখ খুললেন অধীর চৌধুরী। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, লোকসভার স্বাধিকাররক্ষা কমিটি ডাকলে তবেই যাবো। পাশাপাশি ক্ষমা চাইবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হন অধীর চৌধুরী। শুক্রবার রাহুল গান্ধী সাংবাদিক সম্মেলন করলেও অধীর চৌধুরীর বিষয়ে কিছু বলেননি। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করেন অধীরবাবু। তিনি বলেন, ঠিক যেন আগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তারপর বিচার শুরু করার মতো। এমন ঘটনা সংসদীয় রাজনীতির পরিপন্থী। স্বাধিকার রক্ষা কমিটির কাছে রিপোর্টই চাওয়ার আগেই সাসপেন্ড করা হলো।"
পাশাপাশি তিনি বলেন, "সাসপেন্ড করার মতো কিছু করিনি আমি। স্পিকার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা অমান্য করিনি। আমার কোনও কথা অসংসদীয় মনে হলে সরকারপক্ষ সংসদের রুল বুক মেনে সে বিষয় আপত্তি তুলতে পারেন। কিন্তু চক্রান্ত করে বিরোধীদেরকে বেছে বেছে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। বিজেপি হয়তো গেরুয়া অভিধান চালু করতে চাইছে। তাই আমার কথা অসংসদীয় লাগছে। আমি এবিষয়ে ক্ষমা চাইবো কেন?"
এদিন অধীর চৌধুরী আরও বলেন, "আমি শুধু প্রধানমন্ত্রীকে মণিপুর নিয়ে বলতে বলছিলাম। কারণ প্রায় দু'ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও মণিপুর নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন না। বিজেপির সাংসদরাও ঘুমিয়ে পড়ছিলেন।"
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিরোধীরা সংসদ কক্ষ ত্যাগ করার পর বিজেপি সাংসদ প্রহ্লাদ যোশী অধীরের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন। ভোটাভুটিতে প্রস্তাবও পাশ হয়ে যায়। প্রস্তাব গ্রহণ করে অধীরকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার ওম বিড়লা। স্পিকার নির্দেশ দেন স্বাধিকাররক্ষা কমিটি যতদিন না অধীর চৌধুরীর বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিচ্ছে ততদিন তিনি সাসপেন্ড থাকবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন