উত্তরপ্রদেশের সরকারী কর্মীদের জন্য একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে সে রাজ্যের সরকার। সেই নির্দেশিকা অমান্য করলে আগামী মাসেই বেতন বন্ধ হতে পারে উত্তরপ্রদেশের ১৩ লক্ষ সরকারি কর্মীর।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৩১ আগস্টের মধ্যে সমস্ত সরকারী কর্মচারীকে তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ সরকারের কাছে জমা করতে হবে। তা না করলে তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব।
বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে সরকারি কর্মীদের সংখ্যা ১৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪২৯ জন। যার মধ্যে সম্পত্তির তথ্য জমা করেননি ১৩ লক্ষ সরকারি কর্মী। সেই সকল কর্মীদের উদ্দেশ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ কুমার সিং জানান, যাঁরা এখনও পর্যন্ত সরকারি পোর্টালে নিজেদের সম্পত্তির পরিমাণ জমা করেননি তাঁদের সকলের বেতন আগামী মাসে বন্ধ হয়ে যাবে।
যদিও এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছে রাজ্যের বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি। দলের মুখপাত্র আশুতোষ বর্মা বলেন, 'এখন কেন এই নির্দেশিকা নিয়ে সরকারি কর্মীদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে? ২০১৭ সালে যখন যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় এলেন তখন এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন না কেন? আসলে বর্তমানে যোগী একটু ব্যাকফুটে রয়েছেন। সকলেই বুঝতে পেরেছেন যে তাঁদের সরকারের কর্মীরা দুর্নীতিগ্রস্ত'।
উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী দানিশ আজাদ আনসারি জানান, 'এই পদক্ষেপের কারণ হচ্ছে সরকারের মধ্যে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো-টলারেন্স নীতি বজায় আছে'।
প্রসঙ্গত, গত বছর আগস্ট মাসে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে সরকারি কর্মীদের জন্য এই নির্দেশিকা জারি হয়। যেখানে বলা হয় উত্তরপ্রদেশের সকল সরকারি কর্মীকে তাঁদের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ সরকারি পোর্টাল 'মানব সম্পদ'-এ জমা করতে হবে। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময়সীমা বৃদ্ধি করে যোগী প্রশাসন। সময়সীমা বৃদ্ধি করে চলতি বছরের ৩০ জুন করা হয়। পরে সেটাও বৃদ্ধি করে ৩১ জুলাই করা হয়। কিন্তু তারপরেও দেখা যায় মাত্র ২৬% সরকারি কর্মী সমস্ত নথি জমা করেছেন। তারপর ৩১ আগস্ট করা হয় শেষ সময় দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন