পথ কুকুরের মুখে সদ্যোজাতের দেহ। শিশুটির দেহ রাস্তা দিয়ে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কুকুরটি। এমনই শিহরণ জাগানোর মতো ঘটনা ঘটলো কর্ণাটকের এক সরকারি হাসপাতালে। ৩১ মার্চ ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য তিনটি দল গঠন করেছে কর্ণাটক পুলিশ।
সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। এবার প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের শিশু নিরাপত্তা। রবিবার কর্ণাটকের শিবামোগগা জেলার ম্যাকগান হাসপাতালের সামনে এক সদ্যোজাতকে মুখে করে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছিল রাস্তার একটা কুকুর। কিছু সাধারণ মানুষ দেখতে পেয়ে সাথে সাথে কুকুরটিকে তাড়িয়ে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। শিশুটির পরিচয় ২দিনেও জানা যায়নি।
এই ঘটনায় ডোড্ডাপেট থানার পুলিশ একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষী পুলিশের কাছে অভিযোগটি দায়ের করেন। সাথে বর্তমান ও বিগত কিছুদিনে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম নেওয়া সমস্ত শিশুর তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
ওই নিরাপত্তারক্ষী পুলিশকে বলেন, ৩১ মার্চ সকাল ৬টায় হাসপাতালে ডিউটি ছিল তাঁর। কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা এসে তাঁকে জানায়, একটি কুকুর এক সদ্যোজাতকে মুখে করে নিয়ে যাচ্ছে। কুকুরটিকে প্রসূতি ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। শিশুটিকে যখন কুকুরটির মুখ থেকে উদ্ধার করা হয় তখন সে মারা গেছে।
পুলিশের কাছে এখনও শিশুটির মৃত্যুর কারণ অজানা। কুকুরকের কামড়ে মৃত্যু নাকি আগেই মৃত্যু হয়েছিল সদ্যোজাতটির, তা জানতে পোস্টমর্টেম করা হবে। রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে জানিয়েছে শিশুটির জন্ম ম্যাকগান হাসপাতালে হয়নি।
জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য শিশুটির দেহের নমুনা পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন