সকল রেকর্ড পিছনে ফেলে এবার ৮০ ছাড়াল টাকার দাম। মঙ্গলবার, বাজার খুলতেই মার্কিন ডলারের (US) তুলনায় টাকার দাম দাঁড়ায় ৮০ টাকা ০৩ পয়সা। রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে টানা ২৭ বার টাকার মূল্যের পতন হল।
বাজার বিশেষজ্ঞদের অভিমত, টাকার এই মূল্য পতনের প্রধান কারণ হল - মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে কেন্দ্র সরকারের তরফে আরও সুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা, শেয়ার বাজারের পতন এবং সেখান থেকে বিদেশী লগ্নিকারী সংস্থাগুলির পুঁজি প্রত্যাহার।
প্রায় ৪০ বছরের ইতিহাসকে টেক্কা দিয়ে ভারতে মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়ছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চলতি বছরে মুদ্রাস্ফীতির হার ৯.১ শতাংশের উপর চলে যেতে পারে। এই আশঙ্কায়, গত কয়েকমাসে একাধিক বার রেপো রেট বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)।
চলতি বছরের শুরু থেকেই নাটকীয়তা বজায় রেখে চলেছে শেয়ার মার্কেট। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE) থেকে শুরু করে নিফটি (NIFTY) সর্বত্রই বাজার ওঠানামা করছে।
সোমবার বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স দাঁড়িয়ে ছিলো ৫৪,৫২১.১৫ পয়েন্টে। মঙ্গলবার বাজার খোলার সময় সেনসেক্স দাঁড়ায় ৫৪,২৫১.৮৮ পয়েন্টে। সকাল ১১.৩৫ টা নাগাদ সেনসেক্স ওঠানামা করে ৫৪,৫৬৩.৯৯ পয়েন্টে পৌঁছায়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এক ডলারের দাম ছিল ৬৩ টাকা ৩৩ পয়সা। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯ টাকা ৭৯ পয়সায়। ২০১৯ সালে দেখা গিয়েছিল, ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার দাম ৭০-র গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে। করোনার সময়েও টাকার বিপরীতে ডলারের দাম ৭০-র আশপাশেই ছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই ভারতীয় মুদ্রা (Rupee) বাজারে ধস নেমেছে। ক্রমশ পড়ছে টাকার দাম।
২০২২ সালের শুরুতে এক ডলারের মূল্য ছিল ৭৪ টাকা। কিন্তু, মার্চ মাসের শুরুতে টাকার পতন ধাক্কা খেয়ে ৭৭-এর ঘরে চলে যায়। ২৮ জুন থেকে টাকার দাম ৭৯ টাকার উপর চলে যায়। এরপর ১৪ জুলাই, তা ৮০ টাকার উপরে চলে যায়। সেই ধারা বজায় রেখে আবার ৮০-র গণ্ডি পেরিয়ে গেল ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন