গুজবে কান দেবেন না, মাত্র ২৫ শতাংশ বাড়িতে ফাটল ধরেছে। যোশীমঠ পরিদর্শনে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
যোশীমঠকে কিছুদিন আগেই 'ভূমিধস প্রবণ অঞ্চল' ঘোষণা করেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। ৬০০-র বেশি বাড়ি খালি করা হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা। এর মধ্যেই সমস্ত বিষয়টি 'গুজব' বলে মন্তব্য করলেন পুষ্কর সিং ধামি। বুধবার তিনি বলেন, যোশীমঠ নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গুজবে কান দেবেন না, গুজব রটাবেন না। মাত্র ২৫ শতাংশ বাড়িতে ফাটল ধরেছে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য অঞ্চলগুলিও বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখছেন। ভূমিধসের আশঙ্কা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাটির ধারণ ক্ষমতা কত তার বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবেন পর্যবেক্ষকরা। রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে এমসি মিশ্রের সভাপতিত্বে একটি ১৮ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যে কমিটি সমীক্ষা রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা বলেছিল, প্রাকৃতিক ও মানুষের কর্মকাণ্ডের জেরে যোশীমঠের স্থায়িত্ব বড়জোর ১০০ বছর। এর মধ্যে শহরটি ধীরে ধীরে তলিয়ে যাবে। তাই, ধস রুখতে বোল্ডার না সরানো, বড় নির্মাণ না করা এবং প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষ রোপণের পরামর্শ দিয়েছিল মিশ্র কমিটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছরে বেপরোয়া নির্মাণ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, এবং জাতীয় সড়ক প্রসস্ত করার কাজে আরও চাপ বেড়েছে প্রকৃতির উপর। উন্নয়নের নেশায় মত্ত মানুষ খেয়ালই করেনি কখন প্রকৃতির সহ্যের বাঁধ ভেঙেছে!
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন