Dr Kafil Khan: সিএএ সংক্রান্ত মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি ডাঃ কাফিল খানের

হাইকোর্টে জমা দেওয়া কাফিল খানের আবেদনপত্রের সাথে সহমত হন বিচারপতি গৌতম চৌধুরী। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি মামলাটি পুনরায় নিম্ন আদালতে পাঠিয়েছেন।
ডাক্তার কাফিল খান
ডাক্তার কাফিল খান ফাইল ছবি ডাঃ কাফিল খানের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
Published on

সিএএ নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বস্তি পেলেন ডাঃ কাফিল খান। টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে কাফিল খানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যধারা স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ২০১৯ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী সভায় উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।

হাইকোর্টে জমা দেওয়া কাফিল খানের আবেদনপত্রের সাথে সহমত হন বিচারপতি গৌতম চৌধুরী। আবেদন পত্রে বলা ছিল, আলিগড় ম‍্যাজিস্ট্রেটের কাছে চার্জশিট দাখিলের আগে উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনুমতি নেয়নি পুলিশ, যা বাধ‍্যতামূলক ছিল। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি মামলাটি পুনরায় নিম্ন আদালতে পাঠিয়েছেন।

হাইকোর্টের এই নির্দেশে খুশি ডাঃ কাফিল খান। একটি বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, "এই নির্দেশ ভারতের জনগণের কাছে একটি বড় জয়। বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করেছে। হাইকোর্টের এই রায়ের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের জনগণের ওপর যোগী সরকার যে দমননীতি প্রয়োগ করছে তা সম্পূর্ণভাবে উন্মোচিত হয়ে পড়েছে। আমরা আশা করি এই সাহসী রায় ভারতের গণতন্ত্রপন্থী সকল নাগরিক ও জেলবন্দী সমাজকর্মীদের আশা যোগাবে। ভারতীয় গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক।"

২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর সিএএ-বিরোধী সভায় নিজের মন্তব্যের দ্বারা আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন কাফিল খান। এই অভিযোগে কাফিল খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এই মামলায় কেবলমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতেই কোনো ব‍্যক্তিকে এক বছর জেলে বন্দী করে রাখা যায়।

গত সেপ্টেম্বর মাসে কাফিল খানের এই দীর্ঘমেয়াদি হেফাজতকে বেআইনি বলে উল্লেখ করে তাঁকে অবিলম্বে জামিনের নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। যদিও ভারতীয় দন্ডবিধির অধীনে থাকা ফৌজদারি মামলা চলছিল।

- with inputs from IANS

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in