ট্যুইটারের সাথে লড়াইয়ের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়া, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং সংবাদ সম্পর্কিত ওয়েবসাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে খসড়া বিধি প্রস্তুত করলো কেন্দ্র সরকার। এই সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটি স্বনিয়ন্ত্রিত হবে এবং এতে নির্দিষ্ট নীতিমালাও থাকবে।
খসড়া অনুযায়ী, এই ব্যবস্থার সর্বোচ্চ ক্ষমতায় একজন আধিকারিক থাকবেন, যিনি বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তরফে পাঠানো অভিযোগ খতিয়ে দেখে তৎক্ষণাত এর প্রতিক্রিয়া দেবেন এবং আদেশ সম্পর্কে নিয়মিত রিপোর্ট জমা দেবেন।
সূত্রের খবর, অভিযোগের প্রতিকার সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু ব্যবস্থা তৈরী করা হবে এবং এর জন্য নির্দিষ্ট একটা পোর্টাল থাকবে। সমস্ত ব্যবস্থা তদারকির একটা প্রক্রিয়া থাকবে। এই তদারকি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার, যা এই স্বনিয়ন্ত্রিত সংস্থা এবং নীতি নির্ধারনের প্রকাশকের সাথে সমন্বয় সাধন করবে।
জরুরী অবস্থায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সচিব পদাধিকারী কোনো এক কর্মকর্তাকে ক্ষমতা দেওয়া হবে, যাঁকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কমিটির সামনে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে থাকা বিতর্কিত বিষয়গুলো সম্পূর্ণ সরিয়ে দেওয়া বা যতটা সম্ভব ততটা কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে খসড়াতে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছে কী অনুমোদিত এবং কী নয়, সে সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবে। আদালত বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পোস্টকে "ফ্ল্যাগড" চিহ্নিত করলে, তা সরাতে ৩৬ ঘন্টা সময় দেওয়া হবে সাইটগুলোকে। তবে নিয়ম লঙ্ঘনে কী শাস্তি হবে সেকথার এখনও কোনো উল্লেখ নেই প্রস্তাবে।
দেশের নিয়ম মেনে না চললে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এই মর্মে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। হোয়াটসঅ্যাপ, ট্যুইটার, ফেসবুকের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আপনাদের ভারতের সংবিধান অনুসরণ করতেই হবে এবং ভারতের আইন মেনে চলতে হবে। ভারতে আপনাদের লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে। ব্যবসা করা এবং অর্থোপার্জনের স্বাধীনতা রয়েছে আপনাদের, কিন্তু আপনাদের এ দেশের সংবিধান মেনে চলতেই হবে।" এই হুঁশিয়ারির একদিন পরেই নতুন পদক্ষেপ নিল সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন