বুধবার রাহুল গান্ধীর পর বৃহস্পতিবার অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করলো কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদীকে নীরব মোদীর সাথে তুলনা করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি নাম না করেই ধৃতরাষ্ট্রের সাথেও মোদীর তুলনা টানলেন তিনি। এদিনই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয় কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে।
বৃহস্পতিবার সংসদে 'অনাস্থা বিতর্কে' অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত না থাকলেও রাহুলের আক্রমণের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। রাহুল গান্ধী রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে রাবণের সাথে মোদীর তুলনা করছিলেন। আজ মহাভারতের প্রসঙ্গ টানলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, "ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ ছিলেন। তাঁর সামনেই দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করা হয়েছিল। সেইরকমভাবেই আজকের রাজাও অন্ধ হয়ে রয়েছেন। মণিপুর আর হস্তিনাপুরের মধ্যে কোনও তফাত নেই।"
মণিপুর ইস্যুতেই তিনি আরও বলেন, "মণিপুরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন ছিল বলেই আমরা বার বার আলোচনা করার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তিনি উত্তর দিচ্ছেন না। মোদীকে সংসদে ডেকে আনার জন্যই আমাদের অনাস্থা আনতে হয়েছে। নীরব মোদী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্ত কেউ ধরতে পারেনি। মাঝে মধ্যে তাঁকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের আশেপাশে দেখা যায়। ভেবেছিলাম দেশ আর নেই নীরব মোদী। কিন্তু ভুল ভেবেছিলাম। এখন দেখছি নরেন্দ্র মোদীর মধ্যেই নীরব মোদী রয়েছেন।"
সংসদে রাহুল গান্ধী উপস্থিত হওয়ার পর জবাবি বক্তৃতা শুরু করেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু দেড় ঘন্টার বেশি বক্তব্য রাখলেও মণিপুর প্রসঙ্গে আলোচনা করেননি মোদী। এই অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীনই বিরোধীরা সংসদ কক্ষ ত্যাগ করেন। পাল্টা বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, "এঁরা অভিযোগ করতে পারেন কিন্তু এঁদের জবাব শোনার ধৈর্য নেই। এঁরা এখন পালিয়ে যাচ্ছেন"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন