এক পাকিস্তানি গুপ্তচরকে ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশল সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহের অভিযোগে DRDO-র অন্যতম বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার (Pradeep Kurulkar)-কে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী দল বা এটিএস (ATS)।
আধুনিক প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে ভারতীয় সেনা বাহিনীকে শক্তিশালী করে তুলছে 'ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন' বা DRDO। এই উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন গবেষণা কেন্দ্রেরই বিজ্ঞানী হিসাবে কর্মরত ছিলেন প্রদীপ কুরুলকার।
একইসঙ্গে, 'রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট' (DRDE)-এর পরিচালক ছিলেন তিনি। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি থেকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার। পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে এটিএস।
একাধিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, পুনেতে অবস্থিত ডিআরডিও-র এক কেন্দ্রে কাজ করতেন বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার। এটিএস জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ, ভয়েস কল, ভিডিয়ো কল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার অপারেটিভদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর।
এটিএস আরও জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞানীকে ‘হানিট্র্যাপ’ করা হয়েছিল। অর্থাৎ, মধুচক্রের ফাঁদে ফেলা হয়েছিল।
বিবৃতি জারি করে ATS জানিয়েছে, 'ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন ওই বিজ্ঞানী। গোপন তথ্য শত্রুপক্ষের হাতে গেলে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তা জানতেন উনি। তার পরেও নিজের দখলে থাকা গোপন তথ্য শত্রুদেশের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন'।
এ নিয়ে মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন শাখার কালাচৌকি ইউনিটে মামলা দায়ের হয়েছে। ঠিক কী কী তথ্য হাতবদল হয়ে থাকতে পারে, তাতে কতটা ঝুঁকি রয়েছে, তা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন