২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর তৈরি বিবিসি-এর একটি ডকুমেন্টারি ছবির প্রদর্শনী আয়োজন করার অভিযোগ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পিএইচডি বিভাগের ছাত্র তথা কংগ্রেস ছাত্রনেতাকে একবছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত এপ্রিল মাসে সেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিল লোকেশ চুঘ নামের ওই ছাত্র। দিল্লির হাইকোর্টের বিচারপতি পুরুষেন্দ্র কুমার কৌরবের সিঙ্গেল বেঞ্চ লোকেশের পক্ষে রায় দিয়ে তাঁর ভর্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখতে বলে। শুক্রবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের শুরুতে লোকেশ চুঘের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসি-এর তৈরি নিষিদ্ধ তথ্যচিত্র দেখানোর অভিযোগ ওঠে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ার পাশাপাশি লোকেশ কংগ্রেস ছাত্র সংগঠনের জাতীয় সম্পাদকও বটে। তথ্যচিত্র প্রদর্শনী আয়োজনের অভিযোগ তুলে এক বছরের জন্য লোকেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও যে কোনও বিভাগীয় পরীক্ষা দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত এপ্রিল মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে লোকেশ।
গত ২৭ এপ্রিল দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পুরুষেন্দ্র কুমার কৌরবের সিঙ্গেল বেঞ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে লোকেশের পুনরায় ভর্তির নির্দেশ দেয়। আদালতে লোকেশ এরপর ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তাঁর গবেষণারপত্র জমা দেওয়ার অনুমতির পক্ষে আবেদন করে। সেই সময় লোকেশের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে তাঁর গবেষণাপত্র জমা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
কিন্তু লোকেশের কথা অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত আদালতের কোনও নির্দেশই মানেনি বিশ্ববিদ্যালয়। বরং আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুক্রবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন শুনে প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি নাজমি ওয়াজিরির ডিভিশন বেঞ্চ লোকেশ চুঘকে নোটিশ জারি করেছে। এই মামলার পরের শুনানি আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর হবে বলে জানিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন