কেন্দ্রের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলো বামপন্থী যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। বাম যুব সংগঠনের অভিযোগ, শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী।
সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিএএ লাগু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যার বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। এবার পথে নামলো ডিওয়াইএফআই। অবিলম্বে এই আইন বন্ধ করার দাবিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বাম যুব সংগঠন।
আদালতে ডিওয়াইএফআই জানিয়েছে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এইভাবে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগের মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের ১৪ এবং ২১ নম্বর ধারাকে অমান্য করা হচ্ছে। কেন্দ্রের এই নীতি সংবিধানের 'ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দকে ক্ষুণ্ণ করে।
এই প্রসঙ্গে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক (পশ্চিমবঙ্গ) মীনাক্ষী মুখার্জি জানান, "বিজেপি যদি ভাবে সিএএ লাগু করে গরিব মানুষের প্রতিদিনের লড়াইয়ের ইস্যুকে ঘুরিয়ে দেবে তাহলে ভুল ভাবছে। বামপন্থীরা আগেও লড়াই করেছে এখনও লড়াই করছে। আদালতের পাশাপাশি রাস্তাতেও লড়াই জারি থাকবে"।
এর আগে সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, মিডিয়ার প্রাইমে টাইমে যাতে ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে আলোচনা না হয় সেই কারণেই সিএএ লাগু করা হয়েছে। আসলে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যা রায় দিয়েছে তাতে মোদী সরকার আতঙ্কিত।
সোমবার দেশজুড়ে কার্যকর হয় সিএএ বা The Citizenship (Amendment) Act, 2019 (CAA) সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। আইনে পরিণত হওয়ার ৪ বছর পর সিএএ কার্যকর করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই রীতিমতো চমক দিয়ে সিএএ চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মোদী সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন