মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ধাক্কা খেলেন শরদ পাওয়ার। নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল আসল এনসিপি হলো অজিত পাওয়ার-এর শিবির। ফলে নতুন করে দলের নাম ও প্রতীক খুঁজতে হবে বর্ষীয়ান নেতা শরদ পাওয়ারকে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শরদ কন্যা তথা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে।
যে শরদ পাওয়ার ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (NCP) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁকেই আসল এনসিপি নেতার তকমা থেকে বঞ্চিত করা হলো। দীর্ঘদিন ধরেই ভাইপো অজিত পাওয়ার এবং কাকা শরদ পাওয়ারের মধ্যে দলের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। অজিত দাবি করেন তাঁর শিবিরই আসল এনসিপি। এমনকি নিজের একাধিক অনুগামী বিধায়কদের সাথে নিয়ে বিজেপি-শিন্ডে গোষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়ে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন অজিত। গত ৬ মাস ধরে আসল এনসিপি কোনটা তা নিয়ে এই মামলার শুনানি চলছিল। অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।
মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠতার ওপর ভিত্তি করেই অজিত শিবিরকে আসল এনসিপি হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। অজিতের পক্ষে ৪১ জন বিধায়ক রয়েছেন এবং শরদ পাওয়ারের পক্ষে আছেন ১২ জন বিধায়ক।
পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, শরদ পাওয়ারকে নতুন দলের নাম এবং প্রতীক ভাবতে হবে। বুধবার বিকেল ৩টের মধ্যে ৩টি নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানান শরদ পাওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। তিনি বলেন, "মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের রায়ে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে কোনো এক অদৃশ্য শক্তির জয় হয়েছে। যে মানুষটি দল প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁকেই বঞ্চিত করা হলো। শিবসেনার ক্ষেত্রে যা হয়েছিল আমাদেরও তাই হলো। ঠাকরে পরিবারের সাথেও এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এরকম যে হবে তা কিছুটা হলেও আমাদের কাছে জানা ছিল।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা অবশ্যই সুপ্রিম কোর্টে যাবো। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করবো। শরদ পাওয়ারই শূন্য থেকে পার্টিটা শুরু করেছিল। প্রয়োজন হলে আবারও দলটি গড়ে তুলব।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন