জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমূল। সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। এমনটাই খবর সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের।
তৃণমূল সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পথে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করছে তারা। যদিও দলের শীর্ষ নেতাদের কেউ এই বিষয়ে প্রকাশ্যে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। কেবল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এই বিষয়ে এক লাইনের একটি জবাব দিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে কুণাল বলেছেন, ‘‘এখন এ বিষয়ে কিছু বলছি না। দলের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে বক্তব্য জানানো হবে।’’
প্রবীণ তৃণমূল নেতা এবং তিনবারের লোকসভা সাংসদ সৌগত রায়ও একই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "এর আগে, নির্বাচন কমিশনের নেওয়া বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। কমিশনকে বহুবার সুপ্রিম কোর্ট সেন্সরও করেছে। এই বিষয়ে (জাতীয় দলের তকমা বাতিল) কমিশনে ডেপুটেশন পাঠানোর পাশাপাশি, আমরা আইনি পথ নেওয়ার কথাও ভাবতে পারি।“
২০১৬ সালে বাংলার শাসক দল তৃণমূলকে জাতীয় দলের মর্যাদা দেয় নির্বাচন কমিশন। ২০১৬ সালে বাংলা, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুর – চার রাজ্যে ‘রাজ্যদলের’ স্বীকৃতি পায় তৃণমূল। এই ৪ রাজ্য থেকে লোকসভা ভোটে ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের দল। এরপরই জাতীয় দলের মর্যাদা পায় তৃণমূল।
কিন্তু বর্তমানে অরুণাচল প্রদেশে রাজ্য দলের তকমা হারিয়েছে তৃণমূল। এখন বাংলা, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে রাজ্যদলের তকমা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই তৃণমূলের কাছ থেকে জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হল।
তৃণমূলের পাশাপাশি জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়েছে সিপিআই এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি। অন্য দিকে, জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)। অর্থাৎ এই মুহূর্তে জাতীয় দলের তালিকায় রয়েছে ৬ টি দল – ১) বিজেপি; ২)কংগ্রেস; ৩)সিপিআইএম; ৪)এনপিপি; ৫)বিএসপি; ৬)আপ। দিল্লি, পঞ্জাব, গুজরাট এবং গোয়ায় রাজ্যদলের তকমা রয়েছে আপের।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন