আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় একেবারে প্রকাশ্য জনসভা থেকে পাঞ্জাবের আপ বিধায়ককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সোমবার পাঞ্জাবের অমরগড়ের বিধায়ক যশবন্ত সিং গজ্জন মাজরাকে ৪১ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি ও বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন করে ১৬ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা বেআইনিভাবে মজুত রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করল ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ খুলেছে আপ নেতৃত্ব।
অমরগড়ের ওই আপ বিধায়ক যশবন্ত সিং, তার সঙ্গে জড়িত সংস্থা ‘তারা কর্পোরেশন লিমিটেড’ এবং আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’র লুধিয়ানা শাখা ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিল। সেই সময় অভিযোগ খতিয়ে দেখে যশবন্ত সিং ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে এরপর গত সেপ্টেম্বরেই যশবন্তের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযানও চালায় সিবিআই আধিকারিকরা।
পরে ওই মামলায় আর্থিক দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে তদন্ত শুরু করে আরেক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। তবে ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে কোনোরকম সহযোগিতা করেননি ওই আপ বিধায়ক। অভিযোগ, ইডির তরফে একাধিকবার তাকে তলব করা হলেও একবারও সেই ডাকে সাড়া দেননি পাঞ্জাবের অমরগড়ের বিধায়ক। তাই সোমবার পাঞ্জাবের মালেরকোটায় একটি জনসভা চলাকালীনই তাকে ‘গায়ের জোরে’ আটক করেছে গোয়েন্দা সংস্থা।
আটক করে যশবন্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জলন্ধরে ইডির রাজ্য দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার তাকে মোহালির বিশেষ পিএমএলএ আদালতে পেশ করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছে আপ নেতৃত্ব। দলীয় মুখপাত্র মালবিন্দর কাং এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “ইডি আসলে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ভাগীদার। প্রকাশ্য জনসভা থেকে আমাদের দলের বিধায়ককে মিথ্যা মামলায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন