ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাসভবনে হাজির হলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আধিকারিকরা। আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত এক মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি আধিকারিকরা।
এর আগে পাঁচ বার তলব করা হয়েছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান হেমন্ত সোরেনকে। কিন্তু প্রতিবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তাই শনিবার সকালে ইডি আধিকারিকরাই রাঁচীর কাঁকের রোডে সোরেনের সরকারি বাসভবনে উপস্থিত হয়েছেন। এই দলে দিল্লির তিন অফিসারও রয়েছেন।
ইডি সূত্র মারফত জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডে জমি মাফিয়াদের দ্বারা অবৈধভাবে জমির মালিকের নাম পরিবর্তনের বিশাল র্যাকেট চালানো হচ্ছে। এতে বিপুল আর্থিক তছরুপ হয়েছে। সেই মামলায় নাম জড়িয়েছে হেমন্ত সোরেনেরও। সেই বিষয়ে জানতেই মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। যার মধ্যে ২০১১-ব্যাচের আইএএস অফিসার ছবি রঞ্জনও রয়েছেন, যিনি রাজ্যের সমাজকল্যাণ বিভাগের ডিরেক্টর এবং রাঁচির ডেপুটি কমিশনার পদে কাজ করেছেন।
কয়েকদিন আগে এই জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য হেমন্ত সোরেনকে 'শেষ সুযোগ' দেওয়ার কথা জানিয়ে নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি। নোটিস পাওয়ার পর থেকে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই তলবকে 'বেআইনি' বলে উল্লেখ করে হাজিরা দেননি সোরেন।
গত বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রথম তলব করেছিল ইডি। সেই সময় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ব্যস্ত থাকার কারণে হাজিরা দেননি তিনি। এরপর ২৪ আগস্ট এবং ৯ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় নোটিস পাঠানো হয় তাঁকে। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে এবারও হাজিরা দেননি তিনি। ২৩ সেপ্টেম্বর ফের তলব করা হয়। গত ডিসেম্বরে পঞ্চমবারের জন্য তলব করা হয় তাঁকে। কিন্তু প্রতিবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এবার সরাসরি তাঁর বাসভবনে হাজির হলেন ইডি আধিকারিকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন