আসানসোল জেলের সুপারিনটেনডেন্টের পর এবার দিল্লিতে তলব করা হলো সিউড়ি থানার আইসি মহম্মদ আলিকে। শনিবারই ইডি দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
জানা যাচ্ছে, আগামীকালই সম্পত্তি ও ব্যাংকের নথি নিয়ে হাজিরা নির্দেশ দেয়া হয়েছে মহম্মদ আলিকে। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রতর সাথে যোগাযোগ থাকতে পারে এই অফিসারের। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি পরিচিত। ফলে তার সম্পত্তি ও ব্যাংকের নথি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তিনি হাজিরা দেবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিউড়ি থানার আগে বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানায় কর্মরত ছিলেন তিনি।
এর আগে মহম্মদ আলিকে কয়লা পাচারকাণ্ডে প্রায় ১০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সিবিআই আধিকারিক সূত্রে জানা যায়, কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে এই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। অনুপ মাঝির কাছে থেকে প্রোটেকশন মানি নিতেন এই আধিকারিক।
অন্যদিকে বুধবার গভীর রাতে আসানসোল বিশেষ সংশোধনমূলক হোমের সুপারিনটেনডেন্ট কৃপাময় নন্দীকে এক ইমেল পাঠিয়ে আগামী ৫ এপ্রিল দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপারিনটেন্ডেন্ট নন্দী সংবাদমাধ্যমের কাছে কেন্দ্রীয় সংস্থা থেকে সমন পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন এবং তাদের দেওয়া নির্দেশনা অনুসারে কাজ করবেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মন্ডলকে বহু কোটি টাকার গোরুপাচার কাণ্ডে নয়াদিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আগে এই সংশোধনাগারেই রাখা হয়েছিল। এই সংশোধনাগারে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও রাখা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন