কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আগামী ২ নভেম্বর আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে তলব করেছে ইডি। তারপরই এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশী। মঙ্গলবার তিনি দাবি করেছেন, “আমাদের কাছে খবর আছে, ২ নভেম্বর ইডির দফতরে কেজরিওয়াল হাজিরা দিতে গেলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে।"
আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লিতে সংস্থার সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দলের আশঙ্কা, সেইদিনই জিজ্ঞাসাবাদের পরে আপ সুপ্রিমোকে গ্রেফতার করে নিতে পারে ইডি। এই নিয়ে আপ নেত্রী অতিশী জানিয়েছেন, “রাজনৈতিক লড়াইয়ে আমাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না বিজেপি। কেজরিওয়ালকে ভয় পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা মামলায় নাম জড়িয়ে আমাদের নেতাদের গ্রেফতার করাচ্ছে বিজেপি।”
শুধু তাই নয়, কেজরিওয়াল ছাড়াও ইডির নিশানায় রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্ত সোরেন, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনও। এমনটাই দাবি অতিশীর। তাঁর বক্তব্য, “দিল্লির পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, কেরালা, বিহার, তামিলনাড়ুতেও ধারাবাহিকভাবে হারছে বিজেপি। তাই সেখানেও খুব শিগগিরিই একই কায়দাইয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগাতে পারে তারা।”
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাই আগামী ২ নভেম্বর কেজরিওয়ালকেও ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলে তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দলের অভ্যন্তরে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে আবগারি মামলায় গত ১৬ এপ্রিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে টানা প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা জেরা করেছিল আরেক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন