ভোজ্যতেলের দাম আপাতত কমার কোন সম্ভাবনা নেই। বছর শেষে কমতে পারে মূল্য। নতুন ফসল না ওঠা পর্যন্ত তেলের দাম কমার কোনও সুযোগও নেই। এমনটাই জানাল কেন্দ্র। এরপরও চেয়ে থাকতে হবে বিশ্বের বাজারে তেলের দামের দিকে। সেখানে দাম কমলে তবেই দেশে দাম কমবে। নয়তো দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী উৎসবের মরসুমে ভোজ্য তেলের চাহিদা আরও বাড়বে। ফলে দামও বাড়বে।
কারণ ৬০ শতাংশ ভোজ্যতেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এবছরেই সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ শতাংশ। আগামী ডিসেম্বর থেকে খাবার তেলের দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সুধাংশু পান্ডে। ওই সময়ে সর্ষে, বাদাম-সহ নতুন তৈল উৎপাদনকারী শস্য বাজারে চলে আসবে। ফলে ভারত-সহ বিশ্বে তেলের দাম কমবে।
তবে খাওয়ার তেলের দাম অত্যাধিক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে অতিরিক্ত মজুত করার নীতিকে দায়ী করেছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকারি তথ্য বলছে, গতবার দেশে সর্ষে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় চার লক্ষ মেট্রিক টন বেশি হয়েছে। তবুও সরষের তেলের দাম এবছর বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৬ শতাংশ। গত বছর এক কেজি সরষের তেলের দাম ছিল ১২০ টাকা। সেটাই এবছর এসে পৌঁছেছে ১৭৫ টাকায়। মোদি সরকার নতুন আইন করে পণ্য মজুতের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার কারণেই মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে।
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো রফতানিকারী দেশগুলিতে জৈব তেলের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। এরইমধ্যে আমেরিকার মতো দেশ সয়াবিন তেলকে জৈব জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। রান্নার তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে জনসাধারণের নাভিশ্বাস উঠলেও ফুলেফেঁপে উঠছে আদানি আম্বানি গোষ্ঠী। যারা গোটা দেশে খুচরা ব্যবসায় ব্যাপক ভাবে জাঁকিয়ে বসেছে।
কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীক থেকে দেওয়া তথ্যে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, এক বছরে তেলের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর তেলের দাম ছিল ১২০ টাকা প্রতি কেজিতে। এবছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫ টাকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন