তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে 'বেআইনী কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন' (UAPA) দায়ের করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। এই নিয়ে এবার সরব হল এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া। পুলিশ মোট সাংবাদিক-সহ ১০২ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছে।
ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক টুইটারে লেখেন, ‘ত্রিপুরা ইজ বার্নিং’, অর্থাৎ ত্রিপুরা জ্বলছে। তারপরই ওই ব্যক্তি ও ১০২টি প্রোফাইল খুঁজে তাঁদের বিরুদ্ধে আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ (প্রিভেনশন) আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই আইন অনুযায়ী, অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করার ক্ষমতা আছে সরকারের।
এসব নিয়েই রবিবার এডিটর্স গিল্ড লিখিত বিবৃতি জারি করে বলে, সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে লেখালেখি করায় সাংবাদিক-সহ ১০২ জনের বিরুদ্ধে যেভাবে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ইউএপিএ আইন, তাতে অডিটর্স গিল্ড স্তম্ভিত। পুলিশের এমন আচরণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। হিংসা রুখতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্যের সরকার এবং তা থেকে নজর ঘোরাতেই এই পদক্ষেপ।’
প্রসঙ্গত, এই আইনের আওতায় ত্রিপুরা পুলিশ একাধিক নেটমাধ্যমকেও নোটিশ পাঠিয়েছে। সত্যতা যাচাই করতে ত্রিপুরা যাওয়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের বিরুদ্ধেও সম্প্রতি ইউএপিএ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। 'হিউম্যানিটি আন্ডার অ্যাটাক ইন ত্রিপুরা' শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দুই আইনজীবী সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
এই রিপোর্টে, ত্রিপুরায় ১২টি মসজিদ, ৯টি দোকান ও তিনজন মুসলিম সম্প্রদায়ের বাসিন্দার বাড়িতে আক্রমণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনাবলী নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছিলেন তাঁঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন