Electoral Bond: ইউনিক নাম্বার সহ ইলেক্টোরাল বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য কমিশনে জমা দিল এসবিআই

People's Reporter: এখনও পর্যন্ত যে তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড হয়েছে সেই তথ্য অনুসারে, সবথেকে বেশি ১৩৬৮ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে মার্টিন সান্তিয়াগোর সংস্থা 'ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস'।
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সমস্ত তথ্য কমিশনের কাছে জমা দিল স্টেট ব্যাঙ্ক
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সমস্ত তথ্য কমিশনের কাছে জমা দিল স্টেট ব্যাঙ্কগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

ইউনিক নম্বর সহ ইলেক্টোরাল বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ইলেক্টোরাল বন্ডের ইউনিক নাম্বারের মাধ্যমে কোন সংস্থা বা ব্যক্তি ওই বন্ড কিনেছেন এবং কোন রাজনৈতিক দল ওই বন্ড ভাঙিয়েছে তা জানার সম্ভাবনা আছে।

এর আগে গত ১৮ মার্চ শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে ইলেক্টোরাল বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ২১ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জমা দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বলে শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।

এসবিআই আরও জানিয়েছে যে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে কোনও রাজনৈতিক দলের অথবা বন্ড ক্রেতার কে ওয়াই সি সর্বসাধারণের জন্য আপডেট করা হয়নি। কারণ সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা বা গ্রহীতার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। যদিও কোন রাজনৈতিক দল বন্ড ভাঙিয়েছে তা জানার জন্য এই তথ্য অপ্রয়োজনীয়।

এদিন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে যা যা জমা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে আছে সিরিয়াল নাম্বার সহ ক্রেতার বিস্তারিত তথ্য, ইউআরএন নাম্বার, জাবেদার তারিখ, বন্ড কেনার তারিখ, ক্রেতার নাম, কত টাকার বন্ড, যে ব্যাঙ্ক থেকে কেনা হয়েছে সেই ব্যাঙ্কের কোড, কোন টেলার থেকে বন্ড ইস্যু করা হয়েছে বন্ডের মেয়াদ তারিখ এবং বর্তমানে ওই বন্ড কী অবস্থায় আছে।

এছাড়াও দেওয়া হয়েছে সিরিয়াল নাম্বার সহ কোন রাজনৈতিক দল কোন বন্ড ভাঙিয়েছে তার তথ্য, কোন তারিখে বন্ড ভাঙানো হয়েছে, সেই রাজনৈতিক দলের অ্যাকাউন্ট নাম্বারের শেষ চার সংখ্যা, বন্ড নাম্বার, কত টাকার বন্ড, কোন শাখা থেকে ভাঙানো হয়েছে ইত্যাদি তথ্য।  

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ১২ মার্চ নির্বাচন কমিশনের কাছে ইলেক্টোরাল বন্ডের সমস্ত তথ্য জমা করতে বাধ্য হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। পেশ করা তথ্য ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেশের নির্বাচন কমিশন। সেই তথ্য খতিয়ে দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, এসবিআই-র উচিত ছিল নির্বাচনী বন্ডের নম্বর প্রকাশ্যে আনা। কিন্তু সেটা করেনি তারা। নির্বাচনী বন্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নম্বর না দেওয়ায় সমস্ত বিষয় স্পষ্ট হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত যে তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে সেই তথ্য অনুসারে, সবথেকে বেশি বন্ড কিনেছে মার্টিন সান্তিয়াগোর সংস্থা 'ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস'। তারা ১৩৬৮ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে। তারপর রয়েছে তেলুগু ব্যবসায়ী কৃষ্ণা রেড্ডির সংস্থা 'মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড' (৯৬৬ কোটি)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্রের ক্যুইক সাপ্লাই চেন প্রাইভেট লিমিটেড (৪১০ কোটি)। চতুর্থ স্থানে আছে ভেদান্ত লিমিটেড (৪০০ কোটি)। ৩৭৭ কোটি ব্যয় করে পঞ্চম স্থানে রয়েছে হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড।

অন্যদিকে, তথ্য অনুসারে নির্বাচনী অনুদান প্রাপকদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বিজেপি। ৬,০৬০ কোটি টাকা রাজনৈতিক অনুদান হিসাবে পেয়েছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলটি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, ১,৬০৯ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে তারা। কংগ্রেস পেয়েছে ১,৪২২ কোটি টাকা।

নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সমস্ত তথ্য কমিশনের কাছে জমা দিল স্টেট ব্যাঙ্ক
Electoral Bonds: প্রথম ৩০ সংস্থার ১৪টিতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি হানার পর কোটি কোটি টাকার বন্ড ক্রয়
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সমস্ত তথ্য কমিশনের কাছে জমা দিল স্টেট ব্যাঙ্ক
Electoral Bonds: স্টেট ব্যাঙ্কের পেশ করা নির্বাচনী বন্ডের তথ্য অসম্পূর্ণ! ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালত

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in