মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যানে একের পর এক হাতির মৃত্যু নিয়ে তৈরি হচ্ছে রহস্য। তিনদিনে ১০ টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সাতটি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। বুধবার একটি হাতি মারা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও দু’টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ আরও কয়েকটি হাতি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষক্রিয়ার ফলেই মৃত্যু হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে প্রকৃত কারণ।
ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞ দল হাজির হয়েছে বান্ধবগড়ে। কারণ খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। আশাপাশের ক্ষেত, কৃষিজমি এবং জলাভূমিগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেখান থেকে নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে হাতিদের পেটে বিষ পাওয়া গেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, তারা কোডো মিলেট (বাজরা) খেয়েছিল। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে কেন হাতিগুলির মৃত্যু হয়েছে।
হাতিদের চিকিৎসা করা এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, জীবিত হাতিদের টনিক, মাল্টিভিটামিন এবং সাধারণ প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। বন্যপ্রাণী বিভাগের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, “বিশেষজ্ঞদের একটি বড়ো দল গোটা ঘটনাটি পর্যালোচনা করছেন। আমরা মূলত বিষাক্ত সংক্রমণের জন্য তাদের চিকিৎসা করছি। কোডো মিলেট গাছে কীটনাশক ব্যবহার নিয়ে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, এই কাজটি ইচ্ছাকৃত নয়। তদন্ত চলছে।“
বন দফতর সূত্রে খবর, ওই পালে ১৩ টি হাতি ছিল। পালের একমাত্র পুরুষ হাতি-সহ ১০ টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৩ টি হাতির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। তারা আপাতত সুস্থ আছে। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, "মাঠ থেকে কোডো মিলেট খাওয়ার ফলে উদ্ভূত ছত্রাক সংক্রমণের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন