এলগার পরিষদ মামলায় মুম্বাইয়ের একটি বিশেষ আদালতের কাছে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনআইএ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ১৭টি অভিযোগ দায়ের করেছে এনআইএ, যার মধ্যে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার অভিযোগও রয়েছে। এই অভিযোগের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে চার্জশিটে 'প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টার' উল্লেখ নেই।
এই মাসের শুরুতেই চার্জশিটের খসড়া জমা দিয়েছিল এনআইএ। সোমবার সেই খসড়ার কপি প্রকাশ্যে এসেছে। চার্জশিটে এনআইএ বলেছে, ভারত সরকার ও মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালনা করছেন অভিযুক্তরা। সরকারী কর্মচারীদের হত্যা করার জন্য অত্যাধুনিক অস্ত্র সংগঠিত করার ষড়যন্ত্র করছিলেন তাঁরা।
এনআইএ'র অভিযোগ, অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সক্রিয় সদস্য। এঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিপ্লব ও সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা দখল করে 'জনতার সরকার' গঠন করা। এর জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উস্কিয়ে ভারতের নির্দিষ্ট কয়েকটি অংশে বিচ্ছিন্নতা আনার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা।
খসড়ায় বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা উস্কানিমূলক গান রচনা করেছেন। পুনেতে এলগার পরিষদের সভায় বিভিন্নরকম নাটক হতো। মাওবাদী সাহিত্য বিতরণ করতেন। নানাভাবে মানুষের মনে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
এনআইএ'র দাবি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, টাটা ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়োগ করেছিলেন অভিযুক্তরা।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১২০ বি (ষড়যন্ত্র), ১১৫ (অপরাধে সহায়তা), ১২১, ১২১ এ (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো), ১২৪ এ (রাষ্ট্রদ্রোহ), ১৫৩ এ (মিছিলে অস্ত্র) সহ একাধিক ধারা লাগানো হয়েছে। এছাড়াও UAPA আইনের ১৩, ১৬, ১৭, ১৮, ১৮এ, ১৮বি, ২০, ৩৮, ৩৯ এবং ৪০ নম্বর ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন