এলগার পরিষদের মামলায় (Elgar Parishad case) এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না সাংবাদিক ও সমাজকর্মী গৌতম নভলাখা (Gautam Navlakha)। সোমবার, তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন বিশেষ এনআইএ আদালতের স্পেশাল জর্জ রাজেশ জে কাটারিয়া (Rajesh J Katariya)।
২০১৮ সালের আগস্টে, সত্তর বছর বয়সী সমাজকর্মী গৌতম নভলাখা (Gautam Navlakha)-কে ইউএপিএ (UAPA) আইনে গ্রেপ্তার করে NIA। প্রথমে তাঁকে গৃহবন্দী রাখা হয়। তারপর তাঁকে নভি মুম্বাইয়ের তালোজা কারাগারে বন্দী রাখা হয়। এরপর, ২০২১ সালের অক্টোবরে, আন্দা সেলে (উচ্চ নিরাপত্তা ব্যারাক) স্থানান্তরিত করা হয় নাভালাকে। এখন তিনি আন্দা সেলের নির্জন কারাগারেই রয়েছেন।
এলগার পরিষদের মামলায় মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী- সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু, কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও, অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ সহ আদালতে চার্জশিট (হলফনামা) জমা করতে পারেনি NIA। প্রায় সকলেই (১৩ জন) এখন বিনা বিচারে জেলে বন্দী রয়েছেন।
পুলিশের অভিযোগ, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর, মহারাষ্ট্রের পুনেতে এলগার পরিষদ কনক্লেভে উসকানিমূলক বক্তৃতা ও এই অনুষ্ঠানে অর্থ সাহায্য করেছিলেন অভিযুক্তেরা। অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত। তাঁদের ল্যাপটপ থেকে সেই প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশের আরও অভিযোগ, পুনের এলগার পরিষদ কনক্লেভে উসকানিমূলক বক্তৃতাগুলির জেরেই ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০তম বার্ষিকীতে (২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি) হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। অন্যদিকে, একাধিক বেসরকারি ফরেনসিক সংস্থা দাবি করেছে, পরিকল্পিত ভাবে ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ভুয়ো তথ্যপ্রমাণ ঢোকানো হয়েছিল এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্তদের ল্যাপটপে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন