বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে লাগাতার পতন ঘটতে ভারতের (India)। গত ৮ বছরে (২০১৩ থেকে ২০২২ সাল) ভারতের স্থান ৬৩ থেকে ১০৭-এ নেমে এসেছে। তা নিয়ে, গত দু’দিন ধরে মোদী সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। তারপরেই, বিশ্ব ক্ষুধা সূচক (Global Hunger Index)-এর রিপোর্টকে ‘ক্ষুধার একটি ভুল পরিমাপ’ বলে অভিহিত করেছে মোদী সরকার।
রবিবার, এক প্রেস বিবৃতিতে কেন্দ্রের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক (Union Ministry of Women and Child Development) দাবি করেছে, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের রিপোর্টে ‘গুরুতর পদ্ধতিগত সমস্যা রয়েছে।‘ শুধু তাই নয়, এই রিপোর্টে ‘দেশের নাগরিকদের খাদ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ভারত সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে তা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।‘
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সূচক তৈরির সময় চারটি বিষয়ের ওপর নজর দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি শিশুদের স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত। ফলে, এই তিনটি সূচক নিশ্চিতভাবে সারা দেশের জনসংখ্যার প্রতিফলন হতে পারে না।'
কেন্দ্রের দাবি, 'বিশ্ব ক্ষুধা সূচক পরিমাপের চতুর্থ সূচকটি হল অপুষ্টির অনুপাত নির্ণয়। এটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সূচক। আর, তা করার জন্য মাত্র ৩০০০ মানুষের ওপরই সমীক্ষা করা হয়েছে।‘ ভারতের মত বৃহৎ জনসংখ্যার দেশে এই সংখ্যা খুবই নগণ্য এবং কার্যকরী নয় বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্কোর ২৯.১। গত শুক্রবার, এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আইরিশ সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড (Concern Worldwide) এবং জার্মান সংস্থা ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফ (Welthungerhilfe)। তাতে, দেখা যায় - ১২১ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান হয়েছে ১০৭ নম্বরে।
২০২১ সালে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান ছিল ১০১। এক বছরের ব্যবধানে (২০২২ সালে) ৬ ধাপ নেমে তা চলে এসেছে ১০৭ নম্বরে। শুধু তাই নয়, ভারতকে পিছনে ফেলে সূচকের তালিকায় সামনে এগিয়ে এসেছে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা (৬৪ নম্বরে), মায়ানমার (৭১ নম্বর), নেপাল (৮১ নম্বরে), বাংলাদেশ (৮৪ নম্বরে) এবং পাকিস্তান (৯৯ নম্বরে)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন