টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কান্ডে শুক্রবার কৃষ্ণনগরের তৃণমুল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে লোকসভায় রিপোর্ট জমা দিল এথিক্স কমিটি। দুপুর ১২ টায় লোকসভায় রিপোর্ট পেশ করে কমিটি। মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ থাকবে, কি খারিজ হবে, সেই বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপাতত তুমুল হট্টগোলের জেরে দুপুর ২ টো অব্দি মুলতুবি রাখা হয়েছে লোকসভা। এর আগে এই হট্টগোলের জেরেই অধিবেশন শুরুর পর থেকে ১২ পর্যন্ত মুলতুবি ছিল নিম্নকক্ষ।
টাকা ও উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করা এবং ব্য়বসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে সাংসদ পোর্টালের লগ ইন পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে। লোকসভার এথিক্স কমিটি ৪৯৫ পাতার যে রিপোর্ট আজ দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মহুয়া মৈত্র যা করেছেন, তা কঠোর শাস্তিযোগ্য়। পাশাপাশি, মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ যেন খারিজ করা হয় তার সুপারিশও করেছে কমিটি।
রিপোর্টটি পড়ে দেখার জন্য স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারই স্পিকার জানিয়েছিলেন, এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ হওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কিন্তু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রিপোর্টটি পড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছেন। যদি স্পিকার এই আবেদন মঞ্জুর করেন তাহলে আজ মহুয়ার সাংসদ পদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আজও অন্যদিনের মতো বেশ খোলামেলা মেজাজেই সংসদে প্রবেশ করতে দেখা গেল কৃষ্ণনগরের সাংসদকে। লোকসভায় প্রবেশের আগে মহুয়ার গলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার লাইনও শোনা গেল - ‘অসত্যের কাছে কভু নত নাহি কর শির/ ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর।’ তারপর বলেন, ‘‘এঁরা বস্ত্রহরণ শুরু করেছে। এ বার আপনারা মহাভারতের যুদ্ধ দেখতে পাবেন।’’ এদিন মহুয়াকে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাল।
সংবাদসংস্থা ANI জানিয়েছে, জাতীয় লোকপালের সুপারিশ মতো মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে সিবিআই। তবে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে মহুয়ার দাবি, মোদি সরকারের সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্যই, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিজেপি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন