অ্যালোপ্যাথি এবং আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর যোগগুরু রামদেবকে গ্রেফতার করার দাবিতে সরব হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় #ArrestRamdev ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। এবার এ নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রামদেব। "ওদের বাবাও গ্রেফতার করতে পারবে না" বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
একটি ভিডিওতে পতঞ্জলির কর্ণধার রামদেবকে বলতে দেখা গেছে, "এমনকি ওঁদের বাবাও স্বামী রামদেবকে গ্রেফতার করতে পারবেন না। ওঁরা 'ঠগ রামদেব', 'মহাঠগ রামদেব', 'গ্রেফতার রামদেব'-এর মতো ট্রেন্ড তৈরি করে চলেছে। ওঁদের এটা করতে দিন। আমাদের লোকেরা এইধরনের ট্রেন্ডে অভ্যস্ত হয়ে গেছে এবং আমাদের নিয়ে এই ট্রেন্ড সবসময় শীর্ষে পৌঁছে যায়।"
এই ঘটনার সূত্রপাত রামদেবের আর একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে, যেখানে তাঁকে বলতে দেখা যায় - অ্যালোপ্যাথি একটি স্টুপিড সায়েন্স। DCGI অনুমোদিত রেমডেসিভির, ফ্যাভি ফ্লু এবং অন্যান্য ওষুধগুলো করোনা রোগীদের সুস্থ করে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে লক্ষ লক্ষ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আধুনিক চিকিৎসকরা খুনি।
এরপরই রামদেবের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে মামলা দায়ের করার দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধনকে চিঠি লেখে শীর্ষ মেডিক্যাল সংস্থা আইএমএ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে রামদেবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলা দায়ের করার দাবি জানায় সংস্থাটি। এছাড়াও ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে যোগগুরুর বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করে আইএমএ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রামদেবকে গ্রেফতার করার দাবিতে ট্রেন্ড শুরু হয়। তীব্র বিতর্কের মুখে রামদেবকে এই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি তা করলেও ফের আর একটি মন্তব্য করে বিতর্ক আরো বাড়িয়ে দিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন