দলিত হওয়ার কারণে আরএসএস-র প্রতিষ্ঠাতা কেবি হেরগেওয়ারের বাড়িতে (বর্তমানে সেটি মিউজিয়াম) ঢুকতে পারেননি কর্ণাটকের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক গুলিহাট্টি শেখর। ভাইরাল হওয়া এক অডিও ক্লিপে এমনটাই অভিযোগ করতে শোনা যায় প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ককে। যদিও সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
হোসাদুর্গার প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছিল নাগপুরে। শনিবার ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপে তিনি জানান, কর্ণাটক নির্বাচনের আগে তিনি নাগপুরে হেরগেওয়ার মিউজিয়ামে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানেই অপমান করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি বলেন, "যাদুঘরে ঢোকার আগে এক ব্যক্তির সাথে আমার কথা হয়। তিনি আমাকে বলেন, তপশিলি জাতির কেউ এই মিউজিয়ামে ঢোকেন না। এরপর আমি বাইরেই থাকি। ভিতরে প্রবেশ করিনি।"
অডিও ক্লিপে বিজেপি নেতাদের এবং সংঘ পরিবারের প্রতি বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা যায় প্রাক্তন বিধায়ককে। তিনি বলেন, "বলা হচ্ছে বিজেপির তরফ থেকে নির্বাচনী টিকিট না পাওয়ার কারণে নাকি আমি বিষয়টা প্রকাশ্যে এনেছি। আমার সাথে যা হয়েছিল সেই ঘটনায় আমি এখনও কষ্ট পাই। আমি আগেও বিজেপির টিকিটে জিতেছি। কিন্তু এখানে বিষয়টা রাজনীতির নয়"।
তিনি আরও বলেন, "আমাকে হেরগেওয়ার স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনের ভিডিও প্রকাশ করতে বলছে বিজেপি। আমি যদি মিথ্যা কথা বলে থাকি তাহলে এখন আপনাদের (সংঘ পরিবার) ঘর পরিষ্কার করতাম। আপনাদের কাছে নিশ্চই সিসিটিভি ফুটেজ থাকবে। সেটা খতিয়ে দেখুন। সিসিটিভি ফুটেজ যদি ভুল হয় তাহলে আপনাদের বাড়ির দরোয়ান হয়ে থাকবো। আমি যদি অনেক আগেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আনতাম তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আরও আসন হারাতো"।
শেখর এও বলেন, "বিজেপির তরফ থেকে নির্বাচনী টিকিট না পাওয়ার কারণে নাকি আমি অডিওটা প্রকাশ্যে এনেছি। সেই ঘটনায় আমি এখনও কষ্ট পাই। আমি আগেও বিজেপির টিকিটে জিতেছি। কিন্তু এখানে বিষয়টা রাজনীতির নয়"।
যদিও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। আরএসএস-র পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় "প্রাক্তন বিধায়কের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসংগতিপূর্ণ। হোসাদুর্গার প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক গুলিহাট্টি শেখর একটি অডিও ক্লিপের মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন যে জাতপাতের কারণে নাগপুরে ডঃ হেরগেওয়ারের স্মৃতি সৌধে তাঁকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু দর্শনার্থীদের নাম রেকর্ড করার কোনো ব্যবস্থা নেই ওই মিউজিয়ামে। সকলেই বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারেন"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন