দীপাবলিতে নিজের বাড়ি আলো দিয়ে সাজানোর জন্য অবৈধ সংযোগ থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ.ডি কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে। যার জেরে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার নিজেই সেই কথা জানিয়ে বিষয়টিকে ‘অতিরিক্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জেডি(ইউ) নেতা। পাশাপাশি, এই জরিমানার পরিমাণ যেভাবে গণনা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও জানিয়েছেন কুমারস্বামী।
শুক্রবার কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ.ডি দেবগৌড়া-পুত্র কুমারস্বামী জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর জেপি নগর এলাকায় তাঁর বাসভবনটিকে আলো দিয়ে সাজানোর জন্য রাস্তার সরকারি বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে লাইন নেওয়া হয়েছিল। এই 'অবৈধভাবে' বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য তাঁকে ৬৮ হাজার ৫২৬ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। কিন্তু এই জরিমানা যেভাবে গণনা করা হয়েছে, তাতে যথেষ্ট ত্রুটি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কুমারাস্বামীর দাবি, রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ করা হয়েছে। তিনি ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত’-এর শিকার হয়েছেন।
বেঙ্গালুরু ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (BESCOM)-এর সহকারি এগজিকিটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন কুমারস্বামী। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, “দীপাবলিতে জেপি নগরের বাসভবনকে আলো দিয়ে সাজানোর জন্য আমার কর্মীরা একজন ইলেক্ট্রিশিয়ানকে কাজে লাগিয়েছিল। আমি যখন বাড়িতে ছিলাম না, তখনই সে তার কাজ করে এবং নিছকই পরীক্ষা করার জন্য বাড়ির সামনের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির তারের সঙ্গে জুড়ে দেয়।”
তিনি ওই চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, “ওই কাজ যখন হয়েছে, সেই সময় আমি আমার রমাঙ্গনা জেলার বিদাড়ির বাড়িতে ছিলাম। ফিরে আসার পর আমি যে মুহূর্তে ওই কাজের কথা জানতে পারি, সেই মুহূর্তেই আমি আমার কর্মীদের রাস্তার বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ওই তার কেটে দেওয়ার নির্দেশ দিই। আমার অজান্তেই ওই ইলেক্ট্রিশিয়ান স্বতন্ত্রভাবে এই কাজ করেছিল।” একইসঙ্গে, এই বিষয়ে তাঁর নামে হওয়া এফআইআরটিতেও একাধিক ‘ত্রুটি’ রয়েছেন বলে দাবি করেন কুমারস্বামী।
তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার পিছনে রাজ্যের শাসকদলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ জেডি(ইউ) নেতার। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “রাজ্যের বর্তমান সরকারের ক্ষমতার উৎস নিয়ে অব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অভিযোগ করে ক্রমাগত টুইট ও সাংবাদিক সম্মেলন করার জন্যই আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এমনকি রাজ্যের প্রধান, মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রীও আমার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরির অপবাদ দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন