কংগ্রেস ছাড়লেন দলের সিনিয়র নেতা সুনীল জাখর। পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত সিং চান্নির সমালোচনা করায় দলীয় নেতৃত্বের শোকজের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এর কয়েক সপ্তাহ পরেই দল ছাড়লেন পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সুনীল জাখর। এই ঘটানায় সুনীলের পাশে দাঁড়িয়েছেন পাঞ্জাবের আর এক প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি নভজ্যোত সিংহ সিধু।
রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির কর্মসূচি চলছে। সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী সহ দলের সমস্ত সিনিয়র নেতারা এই কর্মসূচিতে উপস্থিত রয়েছেন। শনিবার এই কর্মসূচি দ্বিতীয় দিনে পড়েছে। এরই মাঝে দলের সিনিয়র নেতার দল ছাড়ার ঘটনায় বড়সড় ঝটকা পেলো কংগ্রেস।
ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন সুনীল জাখর। দলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "বিদায় কংগ্রেসে। শুভেচ্ছা রইলো।"
গত বছর পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সুনীল জাখরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় নভজ্যোত সিং সিধুকে। তখন থেকেই দলের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন সুনীল। এরপর নির্বাচনের সময় চরণজিত সিং চান্নিকে পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান মুখ হিসেবে বেছে নিলে ক্ষুব্ধ হন তিনি। প্রকাশ্যে তিনি বলেন দলিত নেতা হওয়ার কারণেই চান্নিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। মায়াবতীর বিএসপির সাথে কংগ্রেসের তুলনা করেন তিনি। এরপর নির্বাচনে দলের পরাজয়ের পর চান্নিকে এর জন্য সরাসরি দায়ী করেন তিনি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সুনীল জাখর চেয়েছিলেন তাঁকে পাঞ্জাব নির্বাচনে দলের মুখ করা হোক। তা না হওয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন তিনি। এরই মাঝে মার্চ মাস নাগাদ দলের সিনিয়র নেত্রী অম্বিকা সোনি মন্তব্য করেছিলেন পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিন্দু হলে তা বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এই কারণে অম্বিকা সোনির বিরুদ্ধেও প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন তিনি। এই সমস্ত কিছুর জেরে গত মাসে কংগ্রেসের আইনশৃঙ্খলা কমিটি জাখরকে দু বছরের জন্য সাসপেন্ড করার সুপারিশ করে।
অন্যদিকে সুনীল জাখর দল ছাড়ার পরই তাঁকে অ্যাসেট' বলে উল্লেখ করে টুইট করেছেন সিধু। টুইটারে তিনি লেখেন, কংগ্রেসের উচিত নয় সুনীল জাখরকে হারানো। সোনার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ উনি। কোনো সমস্যা থাকলে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া উচিত।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন