দু’বার নোটিস পাঠানো সত্ত্বেও সরকারি বাংলো খালি করেননি মহুয়া মৈত্র। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদকে ফের একবার নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় গৃহায়ণ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)। নোটিসে পত্রপাঠ বাংলো খালি করতে বলা হয়েছে। তা না করলে, বলপ্রয়োগের রাস্তায় হাঁটবেন সরকারি আধিকারিকরা।
সংবাদসংস্থা পিটিআই একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মঙ্গলবার মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে উচ্ছেদ নোটিস জারি করেছে ডিওই। নোটিসে বলা হয়েছে পত্রপাঠ বাংলো খালি করতে হবে তৃণমূল নেত্রীকে। সরকারি বাংলোটি দ্রুত খালি করতে ডিইও আধিকারিকদের একটি দলকে ওখানে পাঠানো হবে।
সূত্র মারফত জানা গেছে, এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, তিনি যে অনৈতিক ভাবে ওই বাড়ির বাসিন্দা নন, তা প্রমাণে মহুয়াকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সে কাজে ব্যর্থ হয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঘুষের বদলে সংসদে প্রশ্ন কাণ্ডে গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। এরপর দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করতে বলে তাঁকে নোটিস পাঠায় ডিওই। ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নোটিসের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর তিনি বাংলো খালি করবেন বলে জানান আদালতে।
গত ৪ জানুয়ারি এই আবেদনের শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্টের পক্ষ থেকে মহুয়াকে ডিওই-র কাছে আবেদন জানাতে বলা হয়েছিল, যাতে তিনি আরও কিছুদিন ওই সরকারি বাংলোতে থাকতে পারেন।
বিচারপতি সুব্রহ্মনিয়াম প্রসাদ জানিয়েছিলেন, আইন অনুসারে বিশেষ ক্ষেত্রে কোনও বাসিন্দা সময়ের পরেও অতিরিক্ত ৬ মাস ভাড়ার বিনিময়ে ওই বাড়িতে থাকতে পারেন। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে একমাত্র ডিওই। এর পরে মহুয়ার আইনজীবী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।
এরপর গত ১১ জানুয়ারি কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদকে ফের নোটিস পাঠানো হয়। কেন বাংলো খালি করছেন না তিনি, ১৬ জানুয়ারির মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়। সেই সময়সীমাও পার হয়ে যাওয়ায় আবার উচ্ছেদের নোটিশ পাঠানো হল মহুয়াকে। এবার তৃণমূল নেত্রী কী করেন সেটাই দেখার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন