বন্ধুকে দিয়ে রেলের পরীক্ষা দেওয়ানোর জন্য নিজের বুড়ো আঙ্গুলের চামড়া তুলে বন্ধুর আঙ্গুলে জুড়ে দিলেন এক পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটে গুজরাটের ভাদোদরাতে। অভিযুক্তরা দুজনেই বিহারের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিনব পদ্ধতিতে পরীক্ষাতে নকল করার চেষ্টা দেখে হতবাক অনেকেই। ২২ আগস্ট গুজরাটের ভাদোদরাতে রেলের একটি পরীক্ষা ছিল। সেখানে পরীক্ষা দিতে যায় বিহারের মণীশ কুমার। পুলিশ সূত্রে খবর, ঐ পরীক্ষার্থী আসলে তার এক বন্ধুকে পাঠায় পরীক্ষা দিতে। পরীক্ষা কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির ব্যবস্থা থাকে। ঐ পদ্ধতি এড়াতে মণীশ নিজের বুড়ো আঙ্গুলের চামড়া কেটে বন্ধুর বুড়ো আঙ্গুলে আঠা দিয়ে জুড়ে দেয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে স্যানিটাইজার ব্যবহারের ফলে বন্ধু রাজ্যগুরু গুপ্তার হাত থেকে চামড়াটি খুলে পড়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ভারোতারিয়া জানান, রেলের পরীক্ষাতে নকল আটকাতে বুড়ো আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়ে থাকে। আধার কার্ডের সাথে সেটা মিলিয়ে দেখা হয়। মণীশের আঙুলের ছাপ নিতে গেলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তা নথিভুক্ত হয় না। যিনি পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন বিষয়টি তাঁর নজরে আসে। তিনি দেখেন রাজ্যগুরু কিছু লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে।
বিষয়টি জানাজানি হতেই ঐ কেন্দ্রের আধিকারিকেরা পুলিশে খবর দেয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪৬৫ ( জালিয়াতি), ৪১৯ (ছদ্মবেশে প্রতারণা) এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, রাজ্যগুরু মেধাবী ছাত্র। তাই ঐ পরীক্ষার্থী জালিয়াতি করার জন্য তাঁকে বেছে নেয়।
ঐ আধিকারিক এও বলেন, পরীক্ষার একদিন আগে মণীশ রান্না করার একটি পাত্র গরম করে। সেই পাত্রে নিজের বাম হাতের বুড়ো আঙুল রেখে তাতে ফোসকা ফেলে। পরে ব্লেড দিয়ে সেই চামড়া কেটে নিজের বন্ধুর আঙুলে তা লাগিয়ে দেয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন