বিজেপির সর্বোচ্চ ‘নীতি নির্ধারণ’ কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ‘কাঁটা-ছেঁড়া’। শুধু বিজেপি নয়, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে কংগ্রেস।
২০২৩ সালের নভেম্বরে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তাঁর আগে দলের সর্বোচ্চ কমিটি থেকে শিবরাজ সিং প্রস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে সত্যনারায়ণের অন্তভুক্তি- এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একদা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সত্যনারায়ণের হাতে দলের রাশ তুলে দিয়েছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান।
এ নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গেছে বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা গোবিন্দ সিং-এর মুখে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, ২০২৩ সালের পর তিনি কেন্দ্রে যাবেন। কিন্তু, এখন দেখছি দলই তাকে মূল পদে রাখার পক্ষে নেই।’
এ প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র দিব্যা গুপ্তা বলেন, ‘তাঁর (পড়ুন- শিবরাজ সিং) জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বিজেপির সর্বোচ্চ ‘নীতি নির্ধারণ’ কমিটিতে কি কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আছেন? না। সেটা হলে কিছু বলার থাকতো।’
অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর (OBC) অন্যতম মুখ হলেন শিবরাজ সিং চৌহান। দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন। তিনিই বিজেপির একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি নরেন্দ্র মোদীর আমলের আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রয়েছেন।
এমনকি, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নরেন্দ্র মোদীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে শিবরাজ চৌহানকে দাঁড় করানো হয়েছিল৷
২০১২ সালে বিজেপির এক সভায় সফল মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শিবরাজ সিং চৌহানের প্রশংসা করেছিলেন লালকৃষ্ণ আদবানি। কিন্তু, এসময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। যা, মোদীকে ছোট করার চেষ্টা হিসাবে দেখা হয়েছিল।
তারপর, ২০১৩ সালে একসঙ্গে বিজেপির সর্বোচ্চ ‘নীতি নির্ধারণ’ কমিটিতে জায়গা পান নরেন্দ্র মোদী এবং শিবরাজ সিং চৌহান। কিন্তু, ২০২২ সালের নরেন্দ্র মোদীর আমলে সেই শীর্ষ কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন শিবরাজ সিং। যেভাবে বাদ পড়েছেন- কেন্দ্রীয় সড়ক-পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি। যা অনেকেই চমকে দিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন