শুক্রবার সকালে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সরকারি বাংলোতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি দল এসে পৌঁছাল। মহুয়াকে উচ্ছেদ করতেই ওই দল এসে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছে একাধিক সংবাদসংস্থা। জানা গেছে, ‘বলপ্রয়োগের’ আগেই তৃণমূল নেত্রী নিজে বাংলো ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছেন।
দিল্লীর সরকারি বাংলো খালি করতে বলে গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মহুয়া মৈত্রকে তিন নম্বর নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় গৃহায়ণ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)। নোটিসে বলা হয়েছিল পত্রপাঠ বাংলো খালি করতে মহুয়া মৈত্রকে। নইলে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের একটি দলকে বাংলো-স্থলে পাঠানো হবে এবং প্রয়োজনে মহুয়ার উপর বলপ্রয়োগ করাও হতে পারে।
বৃহস্পতিবার, এই নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন সাংসদ। কিন্তু বিচারপতি গিরিশ কাঠপালিয়া এই আবেদন খারিজ করে দেন।
এরপর শুক্রবার সকালে দিল্লির টেলিগ্রাফ লেনে ৯বি নম্বর বাংলোতে আসেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের একটি দল। জানা গেছে তাদের হাতে বাংলোর জিনিসপত্র তুলে দেন মহুয়া।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঘুষের বদলে সংসদে প্রশ্ন কাণ্ডে গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। এরপর ৭ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করতে বলে তাঁকে নোটিস পাঠায় ডিওই। এরপর গত ১১ জানুয়ারি ফের নোটিস পাঠানো হয়। কেন বাংলো খালি করছেন না তিনি, ১৬ জানুয়ারির মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়। সেই সময়সীমাও পার হয়ে যাওয়ায় ১৭ জানুয়ারি ফের নোটিস পাঠানো হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন