রামমন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদকের জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে FIR

পুলিশ জানিয়েছে, বিনিত নারেইন নামের ওই সাংবাদিক নিজের ফেসবুকে অভিযোগ করেছেন একটি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় চম্পত রাই জড়িত রয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা তথা রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাইয়ের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে এক সাংবাদিক সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলো উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বিনিত নারেইন নামের ওই সাংবাদিক নিজের ফেসবুকে অভিযোগ করেছেন একটি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় চম্পত রাই জড়িত রয়েছেন।

চম্পত রাইয়ের ভাই সঞ্জয় বনসালের অভিযোগের ভিত্তিতে বিনিত নারেইনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে বিজনোর থানার পুলিশ। এফাআইআরে অলকা লাহোতি এবং রজনীশ নামে আরও দু'জনের নাম রয়েছে। এফআইআর -এ বলা হয়েছে, "বিনিত নারেইন ফেসবুকে যা অভিযোগ করেছেন তা সবই মিথ্যা এবং মনগড়া কাহিনী।... অলকা লাহোতি এবং অন্য এক অভিযুক্তের সাথে মিলে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন নারেইন। এর ফলে কোটি কোটি হিন্দুর অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। সামাজিক শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।"

তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪টি ধারায় এবং আইটি আইনের দুটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গত ১৮ জুন নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন সাংবাদিক বিনিত নারেইন, যিনি পরিবেশ সংরক্ষণে নিযুক্ত একটি এনজিওর সাথেও যুক্ত রয়েছেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, একটি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় চম্পত রাই জড়িত রয়েছেন। নিজের হোমটাউন বিজনোরে ২০ হাজার স্কোয়ার মিটার একটি জমি জবরদখল করতে নিজের ভাইদের সহায়তা করেছেন চম্পত রাই। এই জমিতে একটি গোশালা রয়েছে এবং জমির মালিক এনআরআই অলকা লাহোতি।

নিজের পোস্টে নারেইন আরো দাবি করেছেন, ২০১৮ সাল থেকে এই জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছেন লাহোতি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন লাহোতি, কিন্তু কোনো সহায়তা পাননি তিনি। সঞ্জয় বনসাল তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, এই ফেসবুক পোস্টের কথা জানতে পেরে নারেইনের ফোন নম্বর জোগাড় করে অভিযোগের বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য তাঁকে ফোন করেছিলেন তিনি। রজনিশ নামের এক ব্যক্তি ফোন ধরে তাঁর সাথে খারাপ ব‍্যবহার করেছেন এবং তাঁকে মারার হুমকি দিয়েছেন।

বিজনোরের এসপি ডঃ ধর্মবীর সিং বলেছেন, "চম্পত রাইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মনে হচ্ছে। এমনকি তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তারও কোনো সত্যতা নেই বলে মনে হচ্ছে। তবে পুলিশ সবদিক তদন্ত করছে।"

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in