সরকার গড়েও শান্তি নেই কর্ণাটক কংগ্রেসের, একের পর এক সমস্যা যেন লেগেই আছে। দু’দিন আগেই গুলবার্গা জেলার বিধায়ক বি.আর পাতিল-সহ মোট ১১ জন কংগ্রেস বিধায়ক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে একটি চিঠি লিখে কর্ণাটকের মন্ত্রিসভার সদস্যদের দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ জানান। বুধবারই সেই চিঠি ‘জাল ও ফটোশপ’ বলে সিদ্দারামাইয়াকে জানিয়েছেন পাতিল, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
মঙ্গলবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে চিঠি লিখে বি.আর পাতিল-সহ ১১ জন কংগ্রেস বিধায়ক দাবি করেছিলেন যে তাঁরা কাজ করতে পারছেন না কারণ, রাজ্যের ২০ জনেরও বেশি মন্ত্রী সাংবিধানিক কাজে তাঁদের কোনওরকম সাহায্য করছে না। এমনকি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না।
কিন্তু দু’দিন যেতে না যেতেই পাল্টে গেল সেই ছবি। এবার বি.আর পাতিল সরাসরি জানিয়েছেন, তিনি ওই চিঠি লেখেননি। পাশাপাশি, ওই চিঠি ‘জাল ও ফটোশপ’ করে তাঁর নামে প্রচার করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেই তিনি এই অভিযোগ করেছেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনকি এর বিরুদ্ধে থানায় একটি এফআইআরও দায়ের করেছেন।
এই মুহূর্তে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না কর্ণাটকের শাসকদলের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপিকে হারিয়ে রাজ্যে সরকার গড়েও একের পর এক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সিদ্দারামাইয়া সরকারকে। তারই মাঝে আবার এই ‘জাল’ চিঠি। তবে পাতিলের তরফে এই চিঠি ‘জাল’ বলে দাবি করার পরই কংগ্রেসের আইন-পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠক ডেকেছেন সিদ্দারামাইয়া। এদিনের বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে চিঠি ‘জাল’ প্রমাণিত হলেও সূত্রের খবর, রাজ্যের বিধায়করা সত্যিই মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের কাজ নিয়ে খুশি নয়। বিধায়করা তাঁদের সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের কোনওরকম উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মন্ত্রীদের তরফে বরাদ্দ অর্থ দেওয়া পাচ্ছে না বলেই অভিযোগ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন